কলকাতা: মঙ্গলবার নবান্নে সর্বদল বৈঠকে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করলেন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী। জানিয়ে দিলেন, অন্য কোনও রাজনৈতিক দল নিজেদের মঞ্চ থেকে যাই বলুক না কেন, অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা কখনই বাংলা ভাগের পক্ষে নয়। কথা প্রসঙ্গে, উত্তর প্রদেশের কথাও উঠে আসে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার সভাপতির কথায়। তাঁর বক্তব্য়, ‘উত্তর প্রদেশ আজ গোটা ভারতের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু এই নিয়ন্ত্রণ বঙ্গ প্রদেশ (অবিভক্ত বাংলা) করতে পারত।’
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের জন্য এদিন পয়লা বৈশাখের পক্ষেই মত দেয় অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। তাদের বক্তব্য, এই দিনটি হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সংস্কৃতির দিক থেকে ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজরা যদি বাংলা ভাগ না করত, তাহলে জাতীয় রাজনীতিতে অবিভক্ত বাংলার প্রভাব কতটা থাকত, সেই কথাও তুলে ধরেন তিনি। সেই প্রসঙ্গেই উত্তর প্রদেশের কথা উঠে আসে তাঁর মুখে।
জাতীয় রাজনীতিতে একটি প্রচলিত কথা রয়েছে, উত্তর প্রদেশ গোটা দেশের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। কারণ, লোকসভায় সবথেকে বেশি আসন উত্তর প্রদেশ থেকেই। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় ৮০টিই উত্তর প্রদেশের। স্বাভাবিকভাবেই উত্তর প্রদেশের দখল যার হাতে, লোকসভা ভোটে তার বেশি অ্যাডভান্টেজ। অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য, ‘বাঙালির মেধা, ক্ষমতা, বিশ্বাস ও কৃষ্টিকে অতীতে বার বার ঈর্ষা করা হয়েছে। সেই কারণেই ইংরেজরা বা অন্যান্য আগ্রাসনে বাংলাকে বার বার ভাগের চেষ্টা হয়েছে।’
একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আজ যদি অবিভক্ত বঙ্গ প্রদেশ থাকত, দেশ যদি বিভাজন না হত, তাহলে বর্তমানে ভারতের প্রায় ২২০-২২৫টির কাছাকাছি লোকসভা আসন নিয়ন্ত্রণ করত পশ্চিমবঙ্গ। আবার যদি বাংলাকে বিভাজন করে রাজনৈতিক নিরিখে তাকে মূল্যহীন করে দেওয়ার চেষ্টা হয়, তাহলে বিরোধিতা করবে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা।’