Gariahat Double Murder: কাঁকুলিয়া জোড়া খুনে ধৃত ভিকি ও তার সঙ্গী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Nov 13, 2021 | 5:04 PM

Kolkata Police: কাঁকুলিয়ায় জোড়া খুনের কাণ্ডে ধৃত ভিকি এবং তার সঙ্গীকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত।

Gariahat Double Murder: কাঁকুলিয়া জোড়া খুনে ধৃত ভিকি ও তার সঙ্গী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে
মুম্বই থেকে গ্রেফতার ভিকি হালদার ও তার সঙ্গী

Follow Us

কলকাতা: কাঁকুলিয়ায় জোড়া খুনের কাণ্ডে ধৃত ভিকি এবং তার সঙ্গীকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। চলতি মাসের শুরুতেই মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ভিকিকে। শুভঙ্কর মণ্ডল নামে তার আরও এক বন্ধুকেও গ্রেফতার করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। মুম্বইয়ের একটি নির্ণীয়মান বহুতলে গা ঢাকা দিয়েছিল তারা। সেখানে থেকেই ভিকি ও শুভঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

কাঁকুলিয়ায় সুবীর চাকি ও তাঁর গাড়ির চালককে একই দিনে খুন করা হয়। ঘটনার তদন্তে মেনে পুলিশ অন্যতম মূল অভিযুক্ত হিসেবে ভিকি ও তার মায়ের সন্ধান পায়। ভিকির মা মিঠু হালদারকে গ্রেফতার করা হলেও ভিকিকে ধরা সম্ভব হচ্ছিল না। বারবার মোবাইল নম্বর বদলে পুলিশের চোখে ধুলো দিচ্ছিল সে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে থাকছিল। বারবার ডেরাও বদলাচ্ছিল। তাই তাকে নাগালে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে মুম্বই থেকে তাকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

এদিকে পুলিশি তদন্তের কাঁকুলিয়ার জোড়া খুনের ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। জানা গিয়েছে, খুনের পর সুবীর চাকি ও তাঁর গাড়ি চালকের আঙুল থেকে সোনা ও রূপোর আংটি খুলে নিয়েছিল ভিকি। তা এক বন্ধুর কাছে জমা রেখেছিল। বিনিময়ে নিয়েছিল ৫ হাজার টাকা। আর সেই টাকাকেই পুঁজি করে বাণিজ্যনগরীতে পাড়ি দেয় ভিকি। খুনের প্রায় সপ্তাহ তিনেকের মাথায় মুম্বই থেকে কাঁকুলিয়া খুনের মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার ও তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, খুনের পর এক বন্ধু-সম আত্মীয়ের কাছে গিয়েছিল ভিকি। সুবীর চাকি ও তাঁর চালকের আঙুল থেকে লুঠ করা আঙটি জমা রেখেছিল আর পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছিল। বলেছিল, পরে টাকা দিয়ে গয়না নিয়ে যাবে বলেছিল সে।

ভিকি ও তার সঙ্গী মোবাইল ব্যবহার করত না। কিন্তু অন্য এক জনের মোবাইল থেকে ওই বন্ধুকে ফোন করেছিল ভিকি। তখনই মোবাইল ট্র্যাক করে পুলিশ। মোবাইলের সূত্রেই জানা যায় ভিকি মুম্বইতে। সম্ভাব্য লোকেশন মেলে। তারপর মুম্বই রওনা দেন গোয়েন্দারা। মোবাইল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলা লোকেশন সংলগ্ন এলাকায় নির্মীয়মান বহুতলগুলিতে খোঁজ করেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় ভিকি।

খুনের পরে ভিকির খোঁজ পেতে রেলের থেকে ক’দিনের যাত্রী তালিকা চাওয়া হয়েছিল। শিয়ালদহ, হাওড়া থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের সেই যাত্রী তালিকা থেকেই নাম মিলেছিল ভিকির। কাঁকুলিয়ায় সুবীর চাকি ও তাঁর চালককে একই দিনে খুন করা হয়। ঘটনার তদন্তে মেনে পুলিশ অন্যতম মূল অভিযুক্ত হিসেবে ভিকি ও তার মায়ের সন্ধান পায়। তার মা মিঠু হালদারকে গ্রেফতার করা হলেও ভিকিকে ধরা সম্ভব হচ্ছিল না। বারবার মোবাইল নম্বর বদলে পুলিশের চোখে ধুলো দিচ্ছিল সে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে থাকছিল। বারবার ডেরাও বদলাচ্ছিল। তাই তাকে নাগালে পাওয়া যাচ্ছিল না।

আরও পড়ুন : Luizinho Faleiro: অর্পিতার আসনে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূলের নয়া রাজ্যসভার সাংসদ ফেলেইরিও

Next Article