কলকাতা : বিজ্ঞাপন দেখে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। কিন্তু চার বছর পার হয়ে গেলেও ফ্ল্যাট হস্তান্তর হয়নি। আর তাতেই ক্ষুব্ধ ফ্ল্যাট মালিকরা। হলদিরাম চিনার পার্ক সংলগ্ন এলাকায় কয়েক বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠছে আবাসন। ওই আবাসনে প্রায় ৩০০টি ঘর রয়েছে। অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি মত নির্ধারিত সময়ের চার বছর পরেও ফ্ল্যাট পাননি ফ্ল্যাটের মালিকেরা। আর তার প্রতিবাদেই বিক্ষোভ দেখালেন ফ্ল্যাট মালিকেরা। ফ্ল্যাট মালিকদের দাবি, ২০১৫ সালে এক রিয়েল এস্টেট সংস্থা বিজ্ঞাপন দেয় হলদিরাম চিনারপার্কে তাদের তৈরি আবাসনে ফ্ল্যাট কেনার জন্য। সেই মত প্রায় ৩০০ মানুষ ফ্ল্যাট কেনার জন্য অগ্রিম অর্থ প্রদান করে। রিয়েল স্টেট সংস্থার সাথে তাদের চুক্তি হয় ২০১৮ সালের মধ্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হবে।
কিন্তু দীর্ঘ চার বছর পেরিয়ে গেলেও ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়নি। আর এরই প্রতিবাদে রবিবার ফ্ল্যাট মালিকেরা বিক্ষোভ দেখান আবাসন চত্বরে। ফ্ল্যাট মালিকদের আরও দাবি, অর্ধেকের বেশি ফ্ল্যাটের মালিকরা পুরো টাকা দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তা সত্বেও তাঁরা এখনও ফ্ল্যাট হাতে পাননি। তাদের অভিযোগ, ফ্ল্যাটের গুনগত মানও প্রস্তাবিত চুক্তির থেকে অনেক নিম্নমানের। এমনকী ফ্ল্যাট কেনার সময় চুক্তি পত্রে যা যা দাবি করা হয়েছিল, তার কোনওটাই পূর্ণতা পায়নি। এই নিয়ে ওই রিয়েল এস্টেট সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনও উত্তর দেয়নি।
ওই নির্মীয়মান আবাসনের এক ফ্ল্যাট মালিক জানিয়েছেন, “আমাদের বলা হয়েছিল, ইলেকট্রিসিটির জন্য ট্রান্সফর্মার বসবে, জেনারটর বসবে, সেই সবের জন্য পয়সা দিয়েছি। ক্লাব হাউজ, গ্যারেজের জন্য আলাদাভাবে পয়সা নিয়েছে। আমাদের নামে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি হয়েছে। কিন্তু তা সত্বেও আমরা ইলেকট্রিসিটি পাচ্ছি না। কারণ, তাঁরা এখনও ট্রান্সফর্মারের ব্যবস্থা করতে পারেননি। আমরা চাই, প্রজেক্টটে অবিলম্বে শেষ করে আমাদের হাতে তুলে দিক।”
অন্য এক বিক্ষোভরত ফ্ল্যাট মালিক জানিয়েছেন, “২০১৮ সালে এই প্রজেক্টটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও কাজ শেষ হচ্ছে না। এখানে কোনও বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই, জলের ব্যবস্থা নেই। চারিদিকে মশা, মাছি, নোংরা। নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থা নেই। যে কেউ বাইরে থেকে ঝাঁপিয়ে পাঁচিলের এ পাশে চলে আসে। আমরা এদের সঙ্গে ই-মেইল মারফত যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কোনও উত্তর করেনি।”
আরও পড়ুন : Palki Ambulance: আলিপুরদুয়ারের পালকি অ্যাম্বুলেন্স, বক্সার পর এবার চালু লেপচাখাতেও