কলকাতা: এলাকার বাসিন্দা নন, পেশায় কৃষকও নন, তারপরও কীভাবে সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির সদস্য হয়ে গেলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির ছেলে সুপ্রকাশ গিরি (Suprakash Giri)? এমনকি অন্যের নাম ফেলে সমিতিতে সুপ্রকাশের নাম ঢোকানো হয় বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ তুলেই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের মামলা। আর সেই মামলায় ৩ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে তদন্তকারী অফিসারকে নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
কাঁথি দুবলাবাড়ি টেঙড়ামারি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির সদস্য সুপ্রকাশ গিরি। ওই সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির সদস্য কৃত্তিবাস মাইতির নাম মুছে সেই জায়গায় সুপ্রকাশের নাম দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে। এই নিয়ে ২৮ নভেম্বর মন্দারমণি কোস্টাল থানায় অভিযোগ জানান শেখ মুক্তার আলি।
মঙ্গলবার হাইকোর্টে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেলের অভিযোগ নিয়ে পুলিশ নিষ্ক্রিয় রয়েছে। মূল অভিযুক্ত সুপ্রকাশ গিরি রাজ্যের এক বিধায়কের পুত্র হওয়ায় তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা হয়েছে। এবং এফআইআরে তাঁর নাম নেই।
মামলাকারীর বক্তব্য, সমবায় আইন অনুযায়ী যেখানে সমবায় রয়েছে, সেখানকার বা তার পাশের চার গ্রামের বাসিন্দা হলে তবেই সমবায়ের সদস্য হওয়া যায়। আর কৃষক ছাড়া সদস্যও হতে পারেন না কেউ। এ ক্ষেত্রে সুপ্রকাশ আটলাগুড়ির বাসিন্দা, পেশায় কৃষকও নন।
অন্যদিকে, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন সুপ্রকাশের আইনজীবী সৌমেন দত্ত। তিনি বলেন, পুরোটাই ভুয়ো অভিযোগ। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি বলেন, FIR যখন শুরু হয়েছে, তখন তদন্ত চলবে। কেউ জড়িত রয়েছেন বলে তদন্তকারী অফিসার যদি পর্যাপ্ত তথ্য পান, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হবে। ৩ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করবেন তদন্তকারী অফিসার। বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ফরেনসিকের সাহায্য নিতে হবে, খতিয়ে দেখতে হবে সাদা কালি ব্যবহার করে কীভাবে কারচুপি হয়েছে।