বিধাননগর: আলো-আঁধারি রেস্তোরাঁয় সার দেওয়া হুকা। সন্ধ্যা নামলেই ভিড় বাড়ে তরুণ-তরুণীদের। বিধাননগর তথা সল্টলেক (Salt Lake) এলাকায় এ এক চেনা দৃশ্য। সেই সব হুকা বারই (Hookah Bar) বন্ধ হচ্ছে রাতারাতি। বিধাননগর পুরনিগমের তরফে নির্দেশ দেওয়ার পর সমস্য়ায় পড়েছে রেস্তোরাঁ তথা হুকা বারগুলি। কয়েকদিন আগেই কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম হুকা বারগুলি বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছিলেন। এবার সেই নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে সল্টলেট জুড়ে।
কলকাতায় মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশের পরেই বিধান নগর পুরনিগমের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত কড়া পদক্ষেপ করতে তৎপর হয়েছেন। বিধান নগর পুলিশ কমিশনারকে ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে চিঠি দিয়েছেন তিনি। এরপরই বিধাননগর পুর এলাকায় হুকা বার পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ হতে চলেছে।
হুকা বার চালানোর জন্য কোনও রকম সরকারি লাইসেন্স হয় না, সুতরাং তা পুনর্নবীকরণ করার কোনও প্রশ্নও নেই। যদি গোপনে এই বার চালানোর পাশাপাশি হুকাও ব্যবহার করতে দেখা যায় তাহলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে হুকা বার এবার রাতারাতি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বারের কর্মীদের। কর্মী ও রেস্তোরাঁর ম্যানেজারদের দাবি, হুকা বার নিয়ে যে সব নিয়ম-কানুন আছে, তা খুব একটা স্পষ্ট নয়। তাঁদের দাবি, সরকারের পক্ষ যদি কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম থাকত বা নির্দেশিকা দেওয়া হত, অথবা লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা থাকত, তাহলে তাঁদের পক্ষে খুব সুবিধা হত।
হুকা বার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সল্টলেকে বহু কর্মী কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, এর দায়িত্ব কার? কেন ? তাঁদের দাবি, আগে কিছু না জানিয়েই তাঁদের বার বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কর্মীদের কথায়, পরিকল্পনামাফিক কাজ হলে সবার পক্ষেই সুবিধা হত।