কলকাতা: টাকার বিনিময়ে টিকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ক্যালকাটা স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিরুদ্ধে। শনিবার এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে। যদিও পরে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর করেন প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা। তিনি জানান, এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, এদিন সকাল ১০টা নাগাদ টিকা দেওয়া শুরু হতেই একসঙ্গে ৩০ জনকে নিয়ে টিকার লাইনে ঢোকানোর চেষ্টা করছিলেন দুই মহিলা। লাইনে দাঁড়ানো বাকিরা আপত্তি জানালে বচসা শুরু হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বচসা চলাকালীন একজন জানান তিনি টিকা পাওয়ার লাইনে আগে জায়গা পাওয়ার জন্য ৩০০ টাকা দিয়েছেন। তাঁর মুখের কথা শেষ হতে না হতেই ট্রপিক্যাল চত্বর জুড়ে মুহূর্তের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।
ওই দুই মহিলা পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ায় উত্তেজনার পারদ আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে গত তিনদিন ধরে বাগুইআটি অঞ্চলের মানুষকে ট্রপিক্যালে আনা হচ্ছে বলে জানান দুই মহিলা। তাতেই সন্দেহ আরও দানা বাঁধে। দেবাঞ্জনকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটল কি না সেই প্রশ্নও তোলেন কেউ কেউ। এই পরিস্থিতিতে দুই মহিলাকে আটক করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, বয়স্ক মানুষদের টিকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য বাসে করে ট্রপিক্যালে নিয়ে আসতেন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে টিকার জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। তাই দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধিকর্তা শুভাশিসকমল গুহ বলেন, “বিষয়টা জটিল কিছু নয় বলেই শুনেছি। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বয়স্ক মানুষদের টিকা দেওয়ার জন্য নিয়ে এসেছিলেন। যদিও আমার হাতে এখনও সমস্ত কাগজপত্র আসেনি। তবে বেআইনি কিছু হয়েছে এমনটা একেবারেই নয়।” আরও পড়ুন: হাতে বিস্ফোরক তথ্য, কয়লা-গরুকাণ্ডে এবার বিনয় মিশ্রের মা-বাবাকে তলব সিবিআইয়ের