Autism: অটিস্টিক যুবককে নাচতে বলল একদল, না করতেই মার! খাস কলকাতার এ ছবি

Tollygunge: অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় নিমন্ত্রণ বাড়িতে যাচ্ছিলেন চেতলা সেন্ট্রাল পার্কের বাসিন্দা অমিত্রজিত বিশ্বাস। চেতলা অটোস্ট্যান্ডে বেশ কয়েকজন যুবক তাঁর রাস্তা আটকান। তাঁকে নাচতে বলেন। তাতে রাজি হননি অমিত্রজিত।

Autism: অটিস্টিক যুবককে নাচতে বলল একদল, না করতেই মার! খাস কলকাতার এ ছবি
অমিত্রজিত বিশ্বাস।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 16, 2023 | 11:46 PM

কলকাতা: খাস কলকাতায় অটিজম আক্রান্ত যুবককে মারধরের অভিযোগ। এমন ঘটনা শুধু লজ্জার নয়, প্রশ্ন তুলে দিল, সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে। ঘটনাস্থল চেতলা। এই ঘটনায় টালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বছর বাইশের ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরে ওই যুবককে বেশ কয়েকজন বিরক্ত করছিল। রবিবার সন্ধ্যায় ওই যুবক এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় একইভাবে হেনস্থার শিকার হন। পরিবারের অভিযোগ, রাস্তা আটকে তাঁকে নাচতে বলেন অভিযুক্তরা। না শোনায় গায়ে হাত তোলা হয়। চারজন যুবক তাঁকে মারধর করেন বলে টালিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বাড়ির লোকজন।

অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় নিমন্ত্রণ বাড়িতে যাচ্ছিলেন চেতলা সেন্ট্রাল পার্কের বাসিন্দা অমিত্রজিত বিশ্বাস। চেতলা অটোস্ট্যান্ডে বেশ কয়েকজন যুবক তাঁর রাস্তা আটকান। তাঁকে নাচতে বলেন। তাতে রাজি হননি অমিত্রজিত। প্রতিবাদ করেন তিনি। বলেন, এখন অন্য জায়গায় যাচ্ছেন। একইসঙ্গে বলেন, পুলিশকে সবটা জানাবেন। তারপরই চরম হেনস্থা করা হয় অমিত্রজিতকে। মারধর করা হয়। চোখের পাশে আঘাত লাগে তাঁর। অমিত্রজিত বলেন, “হেঁটে রাসবিহারী যাচ্ছিলাম। চারটে ছেলে আমাকে নাচতে বলে। যেতে দিচ্ছিল না আমাকে। বললাম, পথ ছাড়ো। নাহলে কিন্তু পুলিশে যাব। এরপরই আমাকে মেরেছে।”

এরপরই সোজা বাড়ি গিয়ে মা-বাবাকে সবটা জানান অমিত্রজিত। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে মা হাজির হন থানায়। লিখিত অভিযোগ জানান। তবে নির্দিষ্ট কারও নামে অভিযোগ করতে পারেননি। আক্রান্ত যুবকের মা মিতশ্রী বিশ্বাসের অভিযোগ, এর আগেও একাধিকবার হেনস্থা করা হয়েছে তাঁর ছেলেকে। কিন্তু বিষয়টি এবার শারীরিক হেনস্থার পর্যায়ে পৌঁছেছে। টালিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এমআর বাঙুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় অটিস্টিক যুবক অমিত্রজিৎকে। দোষীদের শাস্তির দাবি করছে অমিত্রজিত ও তাঁর পরিবার। যদিও এখনও কাউকে গ্রেফতার বা আটক করতে পারেনি পুলিশ।