Dilip Ghosh: ‘অন্তত ২০ হাজার আসন জেতা উচিত ছিল’, দলের সমালোচনা দিলীপের
Dilip Ghosh: দিলীপের পর্যবেক্ষণ, কর্মীদের মধ্যে লড়াই করার মানসিকতার অভাব রয়েছে। তাই একটুতেই বুথ ছেড়ে চলে যান তাঁরা। অর্থাৎ দলের কর্মীদের সহনশীলতা, সহ্য ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন দিলীপের মুখে।
কলকাতা: ‘ঠোঁটকাটা’ নেতা হিসাবেই বঙ্গ রাজনীতিতে পরিচিতি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি সাংসদ দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। শুধু বিরোধী দলের নেতারাই নন, দিলীপের কড়া কথার বাণ থেকে রক্ষা পান না দলের নেতারাও। তা কেউ যতই প্রথম সারির নেতা হোন না কেন। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রবিবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কলকাতায় পর্যালোচনা বৈঠকে বসে বঙ্গ বিজেপি শিবির। সেখানে সংগঠন নিয়ে আত্মসমালোচনা শোনা যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির মুখে। সূত্রের খবর, ভোটের ফল নিয়ে সরব হন দিলীপ ঘোষ। অপেক্ষাকৃত বিজেপির শক্তঘাঁটি জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গে কেন দল আশানুরূপ ফল করতে ব্যর্থ, এদিনের বৈঠকে প্রকাশ্যেই প্রশ্ন তোলেন দিলীপ। দিলীপের পর্যবেক্ষণ, কর্মীদের মধ্যে লড়াই করার মানসিকতার অভাব রয়েছে। তাই একটুতেই বুথ ছেড়ে চলে যান তাঁরা। অর্থাৎ দলের কর্মীদের সহনশীলতা, সহ্য ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন দিলীপের মুখে। একইসঙ্গে দিলীপ জানতে চান, সংগঠন কি সেইসব কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে পারছে না। সেই নিরাপত্তাহীনতা কি কোনওভাবে কর্মীদের মনে কাজ করছে?
সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, ৬০% জায়গায় ভাল ভোট হয়েছে। সন্ত্রাস হয়নি। সেই হিসাবে অন্তত ২০ হাজার আসন জেতা উচিত ছিল বিজেপির। এই ফলাফল কখনওই সন্তোষজনক নয়। একইসঙ্গে এদিন আবারও কেন্দ্রীয় এজেন্সির সমালোচনা শোনা যায় দিলীপ ঘোষের মুখে। এর আগেও সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে দিলীপের তোলা প্রশ্ন অস্বস্তি বাড়িয়েছিল বিজেপির অন্দরেই। ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে ধন্দ প্রকাশ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ।
সূত্রের খবর, এদিনও দিলীপ ঘোষ বলেন, লোকজনকে ইডি-সিবিআই ডাকছে, চা খাইয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে। এতে কর্মীদের মধ্যে খারাপ বার্তা যাচ্ছে। যদিও দিলীপের এই কথা খুব একটা ভালভাবে নেননি কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনশল। প্রত্যুত্তরে বনশল বলেন, ‘রাজস্থান, তেলঙ্গনা, অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িশায় দল নিজের দমে লড়ছে। কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে নেই। তাহলে আপনারা কেন নিজেদের শক্তি বাড়ানোর দিকে মন না দিয়ে কেন্দ্র কী করবে, সেই দিকে তাকিয়ে বসে আছেন?’
যদিও বিজেপির রাজ্য় সভাপতি আবার দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত নন। তাঁর কথায়, পঞ্চায়েত ভোটের হিসাব হবে পঞ্চায়েত ভোটের সঙ্গেই। সুকান্তর কথায়, “২০১৮ সালের তুলনায় ১০ শতাংশ ভোট বেড়েছে আমাদের। সবসময় নির্বাচন নির্বাচনের সঙ্গে ট্যালি করতে হয়। লোকসভা লোকসভার সঙ্গে, বিধানসভা বিধানসভার সঙ্গে, পঞ্চায়েত পঞ্চায়েতের সঙ্গে। আমরা সেটাই খতিয়ে দেখছি।”