Akhil Giri: ‘ডাং দিয়ে পিটাব’, ‘মন্ত্রিমশাই’ অখিল গিরির হুমকি মহিলা অফিসারকে! পরে সাজালেন যুক্তিও…

Kanishka Maity | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 04, 2024 | 4:24 PM

Akhil Giri: অখিল গিরি ফরেস্ট অফিসার মনীষা সাউকে বলেন, “ম্যাডাম আপনি সবাইকে নিয়ে চলুন। বেশিদিন থাকতে পারবেন না। আপনার আয়ু ৭-৮ দিন, ১০ দিন। বেশি কথা বলবেন না আপনি একদম। এরকম জানোয়ার, বেয়াদপ রেঞ্জার আসেনি কখনও।"

Akhil Giri: ডাং দিয়ে পিটাব, মন্ত্রিমশাই অখিল গিরির হুমকি মহিলা অফিসারকে! পরে সাজালেন যুক্তিও...
অখিল গিরি।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: মহিলা ফরেস্ট অফিসারকে ‘বেয়াদপ’, ‘জানোয়ার’, এমনকী ডাং দিয়ে পেটানোর হুঁশিয়ারি মন্ত্রী অখিল গিরির। তাজপুরে জবর দখল উচ্ছেদে গিয়েছিলেন ওই মহিলা বিট অফিসার। তাজপুর রামনগর বিধানসভার রামনগর-১ নম্বর ব্লকের মধ্যে পড়ে। বনদফতরের আধিকারিকরা গিয়েছেন শুনে হাজির হন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। এরপরই শুরু হয় ‘মন্ত্রিমশাই’য়ের দাপাদাপি। বলেন, “ভদ্রভাবে হবে না। যে ঠাকুর যে ফুলে সন্তুষ্ট। ডাং দিয়ে পিটাব, তখন বুঝবেন।”

যদিও সেই ভিডিয়ো নিয়ে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কাঁথির ফরেস্ট রেঞ্জারের নেতৃত্বে বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ গরিব মানুষের জিনিসপত্র ফেলা হয়েছে। ওই রাতে করাত দিয়ে মানুষের দোকানের বাঁশ কেটে সমুদ্রে ফেলে দেন। এরপর ১০০ ১৫০ মানুষ ছুটে আসতেই বলেন গুন্ডাগিরি করছেন। আজ শনিবার ডিস্ট্রিক্ট ফরেস্ট অফিসার ডিএফওকে বললাম যে জায়গায় দোকান ছিল, তা তো আপনার জায়গাই নয়।”

কিন্তু এভাবে একজন সরকারি কর্মীর সঙ্গে কীভাবে কথা বলা যায়? অখিল গিরির দাবি, কেউ কোনও খারাপ ব্যবহার করেনি। অখিল বলেন, “পুলিশ, ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের লোকজন ওনাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। ওই মহিলা যিনি এখানে রেঞ্জার হয়ে এসেছেন খুবই খারাপ ব্যবহার করেন মানুষের সঙ্গে। আমি মনে করি ওখানে আমাদের লোকেরা অনেক শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন।”

তবে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বুঝিয়ে দিয়েছেন অখিলের আচরণ কোনওভাবেই অনুমোদন করেন না তিনি। বিরবাহা হাঁসদা বলেন, “একজন কর্মরত অফিসার, তিনি মহিলা, কোনওভাবেই তা সমর্থন করি না। আমার মনে হয় অখিলদার ব্যক্তিগত কিছু বলার থাকলে আমার সঙ্গে কথা বলে নিতে পারতেন। মহিলা অফিসারকে ডিউটিরত অবস্থায় এটা বলা ঠিক না। আমরা যারা দায়িত্বে আছি, আমাদের একটু ভাবনাচিন্তা করে এগোনো দরকার।”

Next Article