কলকাতা: স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে বৃহস্পতিবারই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তুলেছিলেন প্রশ্ন। এরইমধ্যে শুক্রবার বিকালে বিজেপির তরফে যাদবপুর থানা (Jadavpur Police Station) ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দুপুরের পর থেকেই উত্তাল থানা এলাকা। থানার চার মাথার মোড়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় পদ্ম কর্মীদের। অবরোধ করা হয় রাস্তা। কেন দোষীদের চিহ্নিত করে ধরা যাচ্ছে না বারবার উঠতে থাকে সেই প্রশ্ন। উঠে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। দায়ী করা হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনকেও।
বিক্ষুব্ধ পদ্ম কর্মীদের দাবি, ঘটনায় দায় এড়িয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। এদিকে এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই স্বপ্নদীপ কুন্ডুর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যাদবপুর থানার পুলিশের পাশাপাশি তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েজন ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে সৌরভ চৌধুরী নামে এক প্রাক্তনীকেও।
২০২২ সালে বিশ্ববিদ্য়ালয় থেকে এমএসসি পাশ করেছিলেন সৌরভ। তারপর থেকে হস্টেলে থেকেই করছিলেন চাকরির চেষ্টা। তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় আটক করা হয়েছে। শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে এখনও চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। একইসঙ্গে ঘটনার দিন রাতে স্বপ্নদীপের ঘরে যারা ছিলেন তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবি, বুধবার থেকেই তুমুল বিক্ষোভ চলছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়েও। ইতিমধ্যেই মেন হস্টেলের এ-১, এ-২ ব্লক থেকে সরিয়ে নিউ বয়েজ হস্টেলে আনা হয়েছে সমস্ত প্রথমবর্ষের পড়ুয়াদের। একইসঙ্গে হস্টেলে সমস্ত বহিরাগত ও প্রাক্তনীদের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।