কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্টুন প্রকাশ করেছিলেন। তারপরই গ্রেফতার করা হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্য়াপক অম্বিকেশ মহাপাত্রকে (Ambikesh Mahapatra)। সেই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও হয় প্রবল। অবশেষে ১১ বছর পর সেই মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন অম্বিকেশ। ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে অম্বিকেশের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছিল পূর্ব যাদবপুর থানায়। সেই মামলা থেকে এবার অব্যাহতি দিল আলিপুর আদালত (Alipore Court)। আইনি লড়াইতে অবশেষে জয়ী হয়েছেন তিনি। তাঁর এই জয়কে গণতন্ত্রের জয় বলে উল্লেখ করেছেন অধ্য়াপক। তাঁর দাবি, এক গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে দাবি করেন, প্রায় ১১ বছর আগে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়, পুলিশ মিলে ষড়যন্ত্র করে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। তাঁকে মারধর করে, কী ভাবে লক আপে সারারাত রাখা হয়েছিল, সে কথাও উল্লেখ করেন অম্বিকেশ। তিনি আরও জানান, সুপ্রিম কোর্ট ওই ফৌজদারী মামলা বাতিল করা সত্ত্বেও এত বছর ধরে এই মামলা চালানো হচ্ছিল। এরপর মামলা থেকে নিষ্কৃতি দেওয়ার জন্য জেলা আদালতে আবেদন করেন তিনি। সেখানেই গত বুধবার অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি। তাঁর বন্ডের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
অম্বিকেশবাবু বলেন, ‘আমার পরিবার হয়রানির শিকার হয়েছিল, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আমার পাসপোর্ট আটকে দেওয়া হয়েছিল।’ মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল বলে দাবি করেন অম্বিকেশ। তিনি জানান, সেই সময় সরকার কিছুটা সফল হলেও পরে মানুষ প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পেয়েছে। আগামিদিনেই সেই প্রতিবাদ জারি থাকবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘একটি বুদ্ধিদীপ্ত কার্টুন ছিল। উনি কেন শেয়ার করেছিলেন, তার জন্য পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এর থেকে বড় অপদার্থতা আর কিছু হতে পারে না। মানবাধিকার কমিশনের বক্তব্যকেও মান্যতা দেয়নি সরকার।’ জোর করে এভাবে মানুষকে আটকে রাখা যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল সেই কার্টুন। NDTV-র পুরনো প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ব্যঙ্গচিত্র মেলে ফরওয়ার্ড করেছিলেন অধ্যাপক। তারপরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।