কলকাতা: খাস কলকাতার বুকেই চলছিল নকল পাসপোর্ট তৈরি করে মানব পাচারের কারবার (Human Trafficking)। রবিবার উত্তর প্রদেশ জঙ্গি দমন বাহিনী (Uttar Pradesh Anti-Terrorist Squad) কলকাতা থেকেই দুই রোহিঙ্গা(Rohingya)-কে গ্রেফতার করল। জানা গিয়েছে, ধৃত দুই রোহিঙ্গা মানব পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। তাঁরা বাংলাদেশ ও মায়ানমারের নাগরিকদের বেআইনিভাবে ভারতে নিয়ে আসত এবং এখান থেকে নকল ভারতীয় পাসপোর্ট বানিয়ে ইউরোপ, মধ্য প্রাচ্য় ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে পাচার করে দিত। কলকাতা তথা রাজ্যের বুকে এই ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপ নিয়ে এবার টুইটারে সরব হলেন বিজেপি(BJP)-র আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya)।
এদিন সকালে দুই রোহিঙ্গার গ্রেফতারির খবর পাওয়ার পরই অমিত মালব্য টুইট করে লেখেন, “কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের বাকি অংশ বেআইনি ও অপরাধমূলক কার্যকলাপের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। স্বাভাবিক কারণেই সবধরনের জঙ্গি ও অপরাধীরাই আমাদের রাজ্য থেকে যাবতীয় কার্যকলাপ চালানোর জন্য নিরাপদ বলে মনে করছেন। পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা কতটা খারাপ হয়েছে, তা কেবল কল্পনাই করা যায়।”
Kolkata and rest of Bengal is becoming a safe haven for all sorts of illegal and criminal activities. Terrorists and criminals of all hues find it safe to operate from the state for obvious reason. As a result, one can only imagine the deteriorating law and order situation in WB. https://t.co/LC7VrG7nJO
— Amit Malviya (@amitmalviya) November 21, 2021
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম মহম্মদ জামিল ও নুর আমিন। এদিন কলকাতা থেকেই তাদের গ্রেফতার করে উত্তর প্রদেশ এটিএস বাহিনী। সম্প্রতিই অক্টোবর মাসেও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন ভারতীয় হলেও বাকি তিনজন বাংলাদেশী ছিল। তাদের জেরা করেই এই মানব পাচার চক্রের হদিস মেলে। সেই সূত্র ধরেই এ দিন বাকি দুইজনকেও গ্রেফতার করা হয়।
উত্তর প্রদেশ এটিএসের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃত দুই রোহিঙ্গা একাধিক বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গাদের হিন্দু নাম ও নকল পরিচয় পত্র তৈরি করে দিয়ে বিদেশে পাঠাত। ভুয়ো পরিচয়ে যাদের বিদেশে পাঠানো হত, তাদের আসল পরিয় ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়েও মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করত তারা।
গত মাসেও উত্তর প্রদেশ থেকে গ্রেফতার হওয়া ওই চারজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জেরা করেই ভুয়ো পাসপোর্টের সাহায্যে ইউরোপ, মধ্য প্রাচ্য় ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে পাচার করার কথা জানতে পারা যায়। ধৃত ওই চার যুবকের নাম মিঠুন, মোমিনুর, শাওন ও মেহেন্দি হাসান। মিঠুনের ভাই রতন জামিলের সঙ্গে মিলিতভাবে বিভিন্ন বেআইনি কারবার চালাত। সেখান থেকেই গোপন সূত্রে তথ্য জোগাড় করে কলকাতায় হানা দেয় উত্তর প্রদেশের এটিএস বাহিনী।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ধৃত দুই রোহিঙ্গার কাছ থেকে দুটি ভারতীয় পাসপোর্ট, আটটি আধার কার্ড, তিনটি ভোটার কার্ড, তিনটি প্যান কার্ড, দুটি মোবাইল, ৩টি ইউএনএইচসিআর কার্ড, দুটি ডেবিট কার্ড, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, একটি চেকবই এবং মায়ানমার সরকারের ইস্যু করা পরিবার পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদের একটি বড় দল রয়েছে। মূলত বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে বেআইনি পথে ভারতে আনা হত এবং এখানে তাদের ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়া হত। যাদের পাচার করে আনা হত, তাদের হিন্দু নামও দেওয়া হত। নতুন পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের ভিত্তিতেই বিভিন্ন দেশে তাদের পাচার করে দেওয়া হত।
বিগত কয়েক মাস ধরেই এটিএসের কাছে বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে ভারতে মানব পাচারের খবর মিলছিল। এই দলেরই এক সদস্য আগামী মঙ্গলবার তিন বিদেশীকে নিয়ে কলকাতা থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসে করে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই এদের গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, রোহিঙ্গা ইস্যু ও রাজ্যে ক্রমবর্ধমান জঙ্গি ঘাটির খোঁজ পাওয়া নিয়ে আগেও রাজ্য বিজেপি সরব হয়েছে। সম্প্রতিই বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে, কিছুদিন আগেই খড়দহে বাংলাদেশি ভোটার ধরা পড়া ও সুভাষগ্রামে জেএমবি জঙ্গি ধরা পড়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ” খোঁজ নিলে দেখা যাবে, অনেক রোহিঙ্গা ঢুকে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।”
কলকাতা: খাস কলকাতার বুকেই চলছিল নকল পাসপোর্ট তৈরি করে মানব পাচারের কারবার (Human Trafficking)। রবিবার উত্তর প্রদেশ জঙ্গি দমন বাহিনী (Uttar Pradesh Anti-Terrorist Squad) কলকাতা থেকেই দুই রোহিঙ্গা(Rohingya)-কে গ্রেফতার করল। জানা গিয়েছে, ধৃত দুই রোহিঙ্গা মানব পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। তাঁরা বাংলাদেশ ও মায়ানমারের নাগরিকদের বেআইনিভাবে ভারতে নিয়ে আসত এবং এখান থেকে নকল ভারতীয় পাসপোর্ট বানিয়ে ইউরোপ, মধ্য প্রাচ্য় ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে পাচার করে দিত। কলকাতা তথা রাজ্যের বুকে এই ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপ নিয়ে এবার টুইটারে সরব হলেন বিজেপি(BJP)-র আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya)।
এদিন সকালে দুই রোহিঙ্গার গ্রেফতারির খবর পাওয়ার পরই অমিত মালব্য টুইট করে লেখেন, “কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের বাকি অংশ বেআইনি ও অপরাধমূলক কার্যকলাপের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। স্বাভাবিক কারণেই সবধরনের জঙ্গি ও অপরাধীরাই আমাদের রাজ্য থেকে যাবতীয় কার্যকলাপ চালানোর জন্য নিরাপদ বলে মনে করছেন। পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা কতটা খারাপ হয়েছে, তা কেবল কল্পনাই করা যায়।”
Kolkata and rest of Bengal is becoming a safe haven for all sorts of illegal and criminal activities. Terrorists and criminals of all hues find it safe to operate from the state for obvious reason. As a result, one can only imagine the deteriorating law and order situation in WB. https://t.co/LC7VrG7nJO
— Amit Malviya (@amitmalviya) November 21, 2021
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম মহম্মদ জামিল ও নুর আমিন। এদিন কলকাতা থেকেই তাদের গ্রেফতার করে উত্তর প্রদেশ এটিএস বাহিনী। সম্প্রতিই অক্টোবর মাসেও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন ভারতীয় হলেও বাকি তিনজন বাংলাদেশী ছিল। তাদের জেরা করেই এই মানব পাচার চক্রের হদিস মেলে। সেই সূত্র ধরেই এ দিন বাকি দুইজনকেও গ্রেফতার করা হয়।
উত্তর প্রদেশ এটিএসের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃত দুই রোহিঙ্গা একাধিক বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গাদের হিন্দু নাম ও নকল পরিচয় পত্র তৈরি করে দিয়ে বিদেশে পাঠাত। ভুয়ো পরিচয়ে যাদের বিদেশে পাঠানো হত, তাদের আসল পরিয় ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়েও মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করত তারা।
গত মাসেও উত্তর প্রদেশ থেকে গ্রেফতার হওয়া ওই চারজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জেরা করেই ভুয়ো পাসপোর্টের সাহায্যে ইউরোপ, মধ্য প্রাচ্য় ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে পাচার করার কথা জানতে পারা যায়। ধৃত ওই চার যুবকের নাম মিঠুন, মোমিনুর, শাওন ও মেহেন্দি হাসান। মিঠুনের ভাই রতন জামিলের সঙ্গে মিলিতভাবে বিভিন্ন বেআইনি কারবার চালাত। সেখান থেকেই গোপন সূত্রে তথ্য জোগাড় করে কলকাতায় হানা দেয় উত্তর প্রদেশের এটিএস বাহিনী।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ধৃত দুই রোহিঙ্গার কাছ থেকে দুটি ভারতীয় পাসপোর্ট, আটটি আধার কার্ড, তিনটি ভোটার কার্ড, তিনটি প্যান কার্ড, দুটি মোবাইল, ৩টি ইউএনএইচসিআর কার্ড, দুটি ডেবিট কার্ড, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, একটি চেকবই এবং মায়ানমার সরকারের ইস্যু করা পরিবার পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদের একটি বড় দল রয়েছে। মূলত বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে বেআইনি পথে ভারতে আনা হত এবং এখানে তাদের ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়া হত। যাদের পাচার করে আনা হত, তাদের হিন্দু নামও দেওয়া হত। নতুন পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের ভিত্তিতেই বিভিন্ন দেশে তাদের পাচার করে দেওয়া হত।
বিগত কয়েক মাস ধরেই এটিএসের কাছে বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে ভারতে মানব পাচারের খবর মিলছিল। এই দলেরই এক সদস্য আগামী মঙ্গলবার তিন বিদেশীকে নিয়ে কলকাতা থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসে করে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই এদের গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, রোহিঙ্গা ইস্যু ও রাজ্যে ক্রমবর্ধমান জঙ্গি ঘাটির খোঁজ পাওয়া নিয়ে আগেও রাজ্য বিজেপি সরব হয়েছে। সম্প্রতিই বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে, কিছুদিন আগেই খড়দহে বাংলাদেশি ভোটার ধরা পড়া ও সুভাষগ্রামে জেএমবি জঙ্গি ধরা পড়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ” খোঁজ নিলে দেখা যাবে, অনেক রোহিঙ্গা ঢুকে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।”