কলকাতা: সিএএ কার্যকর হতেই বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর সোশাল-বার্তা। এক্সহ্যান্ডেলে বোঝালেন কতটা কার্যকরী এই আইন। আর তা বোঝাতে তুলে আনলেন সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। অমিত লেখেন, যদি সিএএ-র মতো আইন বহু দশক আগে থেকে থাকত, সন্দেশখালির মহিলাদের নাগরিক হিসাবে একটা আইনি ও সাংবিধানিক নিরাপত্তা থাকত। আর তার জোরেই সম্ভবত নিজেদের শোষণ নিয়ে আরও আগেই মুখ খুলতে পারতেন সীমান্তবর্তী এই গ্রামের মহিলারা। এই আইন কার্যকর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
সোমবার দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে সিএএ। এটি নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী, যাঁরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দিতেই এই আইন। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুদের জন্য এই আইন। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে এসেছেন যাঁরা, তাঁরা আবেদন করতে পারবেন নাগরিকত্বের জন্য।
অমিত মালব্য লেখেন, এই মানুষগুলো কয়েক দশক ধরে শরণার্থী হিসাবে ভারতে বসবাস করছেন। কোনও আইনি কিংবা সাংবিধানিক নিরাপত্তা ছাড়াই। সিএএ সেই নিরাপত্তাই দেবে। এরপরই সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে আনেন মালব্য।
সিএএ-র গুরুত্ব বোঝাতে অমিত মালব্য লেখেন, ‘এই যে সন্দেশখালি। পূর্ব পাকিস্তানে ধর্মীয় উৎপীড়ন সহ্য করতে না পেরে বিপুল সংখ্যক মানুষ বিশেষ করে এসসি এসটি সম্প্রদায়ের বিশাল সংখ্যক লোক পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকায় এসে বসবাস শুরু করেন। দিনের পর দিন তাঁরা মুখ বুজে সব মেনে নিয়েছেন, কারণ ভয় পেয়েছেন। প্রতিবাদ করলে যদি জটিলতায় পড়ে যান।’
CAA is an enabling legislation. It is about granting citizenship to religious minorities, who fled to India, post partition, to avoid religious persecution, in neighbouring countries, specifically those we share contiguous border with. This in NO way impacts citizenship of… pic.twitter.com/Fsaqh7bIlx
— Amit Malviya (मोदी का परिवार) (@amitmalviya) March 11, 2024
অমিত মালব্যর সংযোজন, সিএএ-এর মতো একটি কার্যকরী আইন থাকলে সন্দেশখালির মহিলারা নাগরিক হিসাবে আইনি এবং সাংবিধানিক নিরাপত্তার জোরে আগেই নিজেদের উপর হওয়া শোষণের প্রতিবাদ করতে পারতেন। এরকমই ভারতজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই সিএএর মতো আইনের অপেক্ষায় ছিলেন।