কলকাতা: উনিশের লোকসভা ভোটের সময় থেকে বাংলায় এক উল্কাগতির উত্থান দেখেছে বিজেপি। গত পাঁচ বছরে নিজেদের শক্তি আরও বাড়িয়েছে পদ্ম শিবির। এখন রাজ্য বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল তারা। কিন্তু এরপরও তৃণমূল শিবির থেকে মাঝেমধ্যেই খোঁচা আসে, বিজেপি নাকি বহিরাগতদের দল, অবাঙালিদের দল। তবে এসব বলার দিন এবার ফুরিয়ে এসেছে, এমনটাই মনে করছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তথা বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। টিভি নাইন বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যের সঙ্গে ‘না বললেই নয়’ অনুষ্ঠানে একান্ত আলাপচারিতায় মনের সেই অভিব্যক্তির কথাই তুলে ধরলেন অভিজিৎবাবু। তাঁর মতে, বিজেপি ‘অবাঙালি’ ও ‘বহিরাহতদের’ দল – একথা আর বলা যাবে না।
কিছুদিন আগেই সবাইকে চমকে দিয়ে বিচারপতি পদে ইস্তফা দেন তিনি। তারপর শুরু হয় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নতুন ইনিংস। রাজনীতির ইনিংস। বিজেপিতে যোগ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কেন বিজেপিকে আর অবাঙালি কিংবা বহিরাহতদের দল বলা যাবে না, সে ব্যাখ্যাও আজ ‘না বললেই নয়’ অনুষ্ঠানে দিলেন তিনি। অভিজিৎবাবু বলেন, ‘এখনও বেশ কিছু বাঙালি বিজেপিতে যোগ দেবেন। খুবই নাম করা বাঙালি। এরকম শোনা যাচ্ছে।’ যদিও সেই নাম করা বাঙালিরা কারা, সেই বিষয়টি আর খোলসা করেননি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এছাড়া বাংলার রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি বাঙালির মনের কথাও বুঝতে শিখেছে বলে মনে করেন তিনি। বাঙালি কী চাইছে, তা অনুধাবন করতে পারছে বিজেপি। বাংলার পালসের বিচার বিশ্লেষণ করতে বিজেপি সফল হয়েছে। আর সেই কারণেই বিজেপির সাফল্য আসবে বলে মনে করছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, উনিশের লোকসভা নির্বাচন, তারপর একুশের বিধানসভা নির্বাচন উভয় ক্ষেত্রেই বিজেপি নিজের শক্তির পরিচয় দিয়েছে এ রাজ্যে। রাজনীতির কারবারিদের মতে, বাংলার মাটিতে বিজেপির রাজনৈতিক উত্থানের গ্রাফের দিকে তাকালেই অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যাবে, বাঙালির মন বিজেপি কতটা বুঝতে পেরেছে এবং কতটা বোঝা বাকি।