কলকাতা: রবিবারই ব্রিগেডের জনগর্জনের মঞ্চ থেকে তাঁর নাম ঘোষণা হয়েছে। তৃণমূলের টিকিটে লোকসভা ভোটে লড়ছেন পূর্ব বর্ধমান থেকে। কিন্তু, চব্বিশ ঘণ্টাও কাটল না, এরই মধ্যে বিতর্কের মুখে পূর্ব বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকার। জন্মসূত্রে পূর্ব বর্ধমানের শর্মিলা সরকার এখন থাকেন দমদমে। পেশায় চিকিৎসক। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মনোরোগ বিভাগের ডাক্তার। এতদিন তিনি ছিলেন অ্য়াসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে। এদিকে সোমবারই মনোরোগ বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর থেকে পদোন্নতি পেয়ে প্রফেসরের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আর সেই তালিকায় একেবারে প্রথম নামটিই রয়েছে তৃণমূল প্রার্থী ডাঃ শর্মিলা সরকারের। অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর থেকে প্রফেসর পদে উন্নীত হয়েছেন তিনি।
আর এখানেই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে, ভোটে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হওয়ার পরও কীভাবে বিভাগীয় পদোন্নতি পেলেন তিনি? সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েই তো রাজনীতিতে অর্থাৎ ভোট রাজনীতিতে নামার কথা চিকিৎসকের। তাহলে কি স্বাস্থ্য দফতরের চাকরি থেকে ইস্তফা দেননি পূর্ব বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকার? বিষয়টি নিয়ে জানতে টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন শর্মিলা সরকারের সঙ্গে। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
তবে এই বিতর্কের মধ্যে ঘৃতাহুতি করেছে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা (ডিএমই)-র কৌস্তভ নায়েকের প্রতিক্রিয়া। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট, শর্মিলা সরকারের ইস্তফা সংক্রান্ত কোনও তথ্য তাঁদের হাতে নেই। যোগাযোগ করায় বললেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা নেই। আমাদের এখানে পদোন্নতির যে প্রক্রিয়া চলার, সেটাই চলছে। তিনি যে ইস্তফা দিয়েছেন, এই সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।’ তাহলে কি এই পদোন্নতির তালিকা থেকে শর্মিলা সরকারের নাম পরবর্তীতে সরানো হবে? সেই প্রশ্ন অবশ্য কৌস্তভবাবু জানাচ্ছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেমন জানাবে, সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে।