বীরভূম : শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। বছর ঘুরলেই দেশে লোকসভা নির্বাচন। এই আবহে বাংলা সফরে এসেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। ভোট-আবহে দিল্লি নেতৃত্বের উপস্থিতি এ রাজ্যে নতুন নয়। তবে শুক্রবার বীরভূমের (Birbhum) মাটিতে অমিত শাহের বক্তব্যের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। এদিন জনসভা থেকে শাহ বুঝিয়ে দিয়েছেন শুধু পঞ্চায়েত নয়, বিজেপির লক্ষ্য এখন ২৪-এর লোকসভা থেকে ২৬-এর বিধানসভা পর্যন্ত। ২০২৬-এ বাংলার মসনদে যে বিজেপিকে দেখতে চান, এ কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন দ্ব্যর্থহীন ভাষায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দিদি, আপনি যতই স্বপ্ন দেখুন, আপনার পর আপনার ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী হবেন, এই বীরভূমের মাটি থেকে আমি বলে যাচ্ছি বাংলায় পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিজেপিরই নেতা।’
এদিনের সভা থেকে পরিবারবাদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি দাবি করেন, বাংলায় পরিবারতন্ত্র শেষ করতে হবে। পরে অমিত শাহের ভাষণেও সেই একই ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
অমিত শাহ এদিন তাঁর বক্তব্যে একাধিকবার বলেছেন, বাংলায় বিজেপি ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। দুর্নীতি রুখতেই হোক বা অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে, বিজেপিকেই বাংলার মানুষ বেছে নেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। জনতার উদ্দেশে অমিত শাহ বলেন, ‘শাসক দলের সন্ত্রাস থেকে মুক্ত করার একমাত্র রাস্তা হল বিজেপি, অনুপ্রবেশকারীদের আটকানোর একমাত্র রাস্তা বিজেপি।’
সেই সঙ্গে এদিন ২০২৬-এর আগেই তৃণমূলকে উৎখাত করার কথাও বলেছেন অমিত শাহ। তাঁর দাবি, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি ৩৫টি আসন পেলে ২০২৫ পর্যন্তও থাকবে না তৃণমূল সরকার।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাষণ শেষে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। শাসক দলের নেতাদের দাবি, তৃণমূল যে প্রশ্নগুলো তুলেছিল, তার কোনওটারই উত্তর দেননি অমিত শাহ। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘তৃণমূল যে ৫ টা প্রশ্ন করেছিল, তার কোনও উত্তর দেননি অমিত শাহ। তৃণমূল সাংসদেরা যখন পঞ্চায়েত মন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন, তখন তিনি দেখা করেননি। আর আজ অমিত শাহও উত্তর দিলেন না।’ অন্যদিকে, দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, অমিত শাহের মঞ্চেই বসেছিলেন শুভেন্দু, যাঁকে ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল।