কলকাতা: কুন্তল ঘোষের নার্কো অ্যানালাইসিস করানো হোক। আদালতে সওয়াল করলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর প্রশ্ন, কুন্তলকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করার পরও কীভাবে হাসতে হাসতে বয়ান দেন? কুন্তল ঘোষকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, “কুন্তল ঘোষের ন্যাক্রো অ্যানালাইসিস করানো হোক। কারণ কুন্তল আদৌ সত্যি বলছেন কি না, সেটা জানা জরুরি। কুন্তলকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করার পর কীভাবে হাসতে হাসতে বয়ান দেয়?” সম্প্রতি কুন্তল দাবি করেন, অভিষেকের নাম বলানোর জন্য ইডি চাপপ্রয়োগ করছে। শহিদ মিনারের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দুর্নীতিতে যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা তাঁদের মুখ দিয়ে জোর করে তাঁর নাম বার করানোর চেষ্টা করছেন। দুর্নীতিতে তিনি জড়িত, সেটা প্রমাণ হলে তিনি শহিদ মিনারেই ফাঁসি বরণ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
অদ্ভুতভাবে ঠিক তার পরের দিনই ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশের সময়েই একই দাবি করেন কুন্তল। বললেন, “এজেন্সিরা বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে নেতাদের নাম বের করার চেষ্টা করছে।” তারপর একই অভিযোগ করে আলিপুর আদালতের বিচারককে চিঠি দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, তাঁর এই চিঠি প্রসঙ্গেই হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। তা নিয়ে আবার শুরু হয়েছে নতুন শোরগোল।
এদিকে নিম্ন আদালতে মামলাটি উঠলে ইডি-র আইনজীবী সওয়াল করেন, প্রতি ৪৮ ঘণ্টা অন্তর তো কুন্তল ঘোষের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়ে থাকে। সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিয়ো রেকর্ডিং রয়েছে। এমনকি ইডি-র বক্তব্য, নিম্ন আদালতে পেশ করার সময় কখনই ইডি-র আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ তোলেননি কুন্তল।
কুন্তলের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এই চিঠি আসলে কুন্তল লেখেননি। এই চিঠির বয়ান বাইরে থেকে তৈরি করা হয়েছে। সেটাই নিজের মুখে বসাচ্ছেন। যে সব গল্প বলছেন, তা রহস্য উপন্যাসে হয়।”