মধ্যরাতে কলকাতায় শাহ, অমিতের হাত ধরে আজই পদ্মাসনে অভিষেক শুভেন্দুর

Dec 19, 2020 | 9:11 AM

কলকাতায় পা দিয়েই টুইট করেন অমিত শাহ। লেখেন,"কলকাতায় পৌঁছলাম। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মত মহামানবের এই পুণ্য ভূমিকে আমি শতকোটি প্রণাম জানাই।"

মধ্যরাতে কলকাতায় শাহ, অমিতের হাত ধরে আজই পদ্মাসনে অভিষেক শুভেন্দুর
কলকাতায় পৌঁছলেন অমিত শাহ।

Follow Us

কলকাতা: দু’দিনের বাংলা সফরে কলকাতায় পৌঁছলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শনিবার রাত প্রায় পৌনে দু’টো নাগাদ দমদম বিমান বন্দরে অবতরণ করে তাঁর বিমান। কথা ছিল শুক্রবার রাত ১১টার মধ্যেই কলকাতায় ঢুকে যাবেন তিনি। কুয়াশার কারণে সেই অবতরণ হয় মধ্যরাতে। শনিবার একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। এরমধ্যে অবশ্য়ই রয়েছে মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে ‘হাই ভোল্টেজ’ জনসভা। বিজেপি সূত্রে খবর, অমিত শাহর এই জনসভা বদলে দিতে চলেছে বঙ্গ রাজনীতির সমীকরণ। সব পরিকল্পনামাফিক এগোলে এই সভাতেই বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেবেন বাংলায় রাজনীতির অন্যতম ‘ফ্যাক্টর’ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গেই পদ্মশিবিরে যোগ দেওয়ার কথা শাসকদলের আরও বেশ কয়েকজন বিধায়কের।

কলকাতায় পা দিয়েই টুইট করেন অমিত শাহ। লেখেন,”কলকাতায় পৌঁছলাম। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মত মহামানবের এই পুণ্য ভূমিকে আমি শতকোটি প্রণাম জানাই।” শনিবার সকালে এনআইএ’র আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ১০টা ৪৫ নাগাদ বিবেকানন্দ রোডে বিবেকানন্দের পৈতৃক ভিটেয় যাবেন অমিত শাহ। সেখান থেকে ১১টা ১৫ নাগাদ দমদম বিমানবন্দরের পথে রওনা দেবেন। ১১টা ৪৫য়ে হেলিকপ্টারে উড়ে যাবেন মেদিনীপুরের পথে। বেলা আড়াইটেয় সেখানেই জনসভা।

সূত্রের খবর, এদিনের জনসভাস্থলে শাহর সঙ্গেই কপ্টারে অবতরণ করতে পারেন সদ্য তৃণমূল ত্যাগী শুভেন্দু অধিকারী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাত ধরেই রাজনীতির নতুন ইনিংস শুরু করার কথা অবিভক্ত মেদিনীপুরের ‘ভূমিপুত্র’র। তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগদানের কথা ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, উত্তর কাঁথির বনশ্রী মাইতি, সাংসদ সুনীল মণ্ডল-সহ বেশ কয়েজনের।

যদিও শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদান এক প্রকার স্পষ্ট হয়ে গেলেও আর কারা এদিন পদ্মাসনে বসবেন তা এখনও নিশ্চিত করে বলা কঠিন। শুক্রবার সন্ধেয় যা হয়ে গেল তার পর তো এমনটা বলাই যায়। বিকেল পর্যন্ত খবর ছিল ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, উত্তর কাঁথির বিধায়ক বনশ্রী মাইতি, পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি, সাংসদ সুনীল মণ্ডল, কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুরা শুভেন্দুর পথেই হাঁটবেন। রাতে আচমকাই পালা বদল।

আরও পড়ুন: স্বস্তিতে তৃণমূল, দিদির সঙ্গেই থাকছেন আসানসোলের জিতেন্দ্র

একেবারে শেষ পর্বে দল বাঁচাতে কার্যত দড়ি টানাটানি তৃণমূলের। দক্ষিণ কলকাতার সুরুচি সঙ্ঘে অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে গোপন বৈঠক সারলেন জিতেন্দ্র। রাতেই জানালেন, “আমি তৃণমূলে ছিলাম, তৃণমূলে আছি।” আরও কিছু পরেই সৌগত রায় জানালেন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুও দলেই থাকছেন। কোথাও যাচ্ছেন না। শুভেন্দুকে ‘আশ্বস্ত’ করেও এরকম আরও কেউ এদিন পিছু হঠেন কি না শুক্রবারের ঘটনার পর সেটা একটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনটা হলে শুভেন্দুর জন্যও যে তা খুবই অস্বস্তির তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Next Article