Amitabha Chakraborty in Delhi: দিল্লিতে ডাক অমিতাভকে, অনুপম বলছেন ‘পরিস্থিতি শোচনীয়’
Amitabha Chakraborty in Delhi: বাংলার ভোটে পরপর বিজেপির ভরাডুবির পরই দিল্লিতে ডাক পড়েছে অমিতাভ চক্রবর্তীর। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) তিনি।
নয়া দিল্লি : ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে। শুধুমাত্র দলীয় নেতা নয়, সাংসদ থেকে বিধায়ক অনেকেই সরব হয়েছেন রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি উপনির্বাচনে বিজেপি ভরাডুবি হয়েছে ঠিকই, তবে একমাত্র উপ নির্বাচন নয়, সাম্প্রতিক অতীতে পরপর যতগুলি নির্বাচন হয়েছে, তার সবকটিতেই বিজেপি খারাপ ফল প্রকাশ্যে এসেছে। আর আসানসোল ও বালিগঞ্জ উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দিল্লিতে তলব করা হয়েছে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর। বুধবারই দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। হারের কারণ পর্যালোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এ দিনও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তাঁর দাবি রাজ্য বিজেপিতে দমবন্ধ হয়ে আসে। সেখানে কোনও কথা বলার জায়গা নেই। তাঁর দাবি, পুরনো কর্মীরা তাঁকে সমর্থন করছেন। কেন ডাকা হল অমিতাভকে? অনুপমের দাবি, পরিস্থিতি যখন খুব শোচনীয় হয়ে যায়, তখনই এ ভাবে শীর্ষ নেতৃত্ব তলব করে। তবে কেন ডেকে পাঠানো হয়েছে বৈঠকেই সেই রহস্য উন্মোচন হবে বলে মনে করেন তিনি।
মাস কয়েক আগে লোকাল ট্রেনের কামরায় এই অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘অমিতাভ চক্রবর্তী একজন গরু পাচারকারী। অবিলম্বে তাঁকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।’ শুধু ট্রেন নয়, পরে সেই অমিতাভ চক্রবর্তীকে সরানোর দাবিতে পোস্টার পড়ে খাস বিজেপির রাজ্য দফতরের সামনেও। তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ তুলে অমিতাভ চক্রবর্তীকে পদ থেকে সরানোর দাবিও উঠেছিল। কলকাতার রাস্তায় যে পোস্টার পড়েছে, তাতে লেখা ছিল, ‘পিকের টিমের দালাল অমিতাভ চক্রবর্তীকে হটাও, বিজেপি বাঁচাও।’ আর হারের কারণ নিয়ে আলোচনা করতে তাঁকেই ডাকা হল দিল্লিতে।
বুধবার তাঁকে দলের মুখ্য কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, সেখানে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা-সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন। সূত্রের দাবি, জানতে চাওয়া হবে কেন আসানসোলের মত কেন্দ্র হারাতে হল বিজেপিকে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ, এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘যেমন আশা করেছিলাম তেমন ফল হয়নি। এখানে যেমন আলোচনা করা উচিত কেন্দ্রের কাছেও সেই ফিডব্যাক থাকা উচিত, মূল সমস্যাটা কোথায় এবং সেই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’