Calcutta High Court: পুলিশে ভরসা নেই, বেবিকে খুঁজতে নিজেই হাইকোর্টে ছুটলেন বৃদ্ধ বামনেতা অনিল
Calcutta High Court: দিন পাঁচেক আগে খড়্গপুরে অনিল দাসকে মারধরের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যে ভিডিয়োতে দেখা যায়, প্রবীণ এই বাম নেতাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে ও আরও জনা তিনেক মহিলা। একজনকে দেখা যায়, চপ্পল দিতে অনিল দাসকে মারতে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ে।

দেবব্রত সরকার
কলকাতা: চারদিন পেরিয়ে গিয়েছে। তারপরও খড়্গপুরে প্রবীণ বাম নেতাকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তকে তৃণমূল নেত্রীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এবার পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন খড়্গপুরের আক্রান্ত বাম নেতা অনিল দাস। অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলেকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দিতেও তিনি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন।
দিন পাঁচেক আগে খড়্গপুরে অনিল দাসকে মারধরের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যে ভিডিয়োতে দেখা যায়, প্রবীণ এই বাম নেতাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে ও আরও জনা তিনেক মহিলা। একজনকে দেখা যায়, চপ্পল দিতে অনিল দাসকে মারতে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ে। শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয় বিরোধীরা। ঘটনার নিন্দা করে তৃণমূলও। বেবি কোলেকে শোকজের পাশাপাশি খড়্গপুর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে শাসকদলই অভিযোগ দায়ের করে। তারপরও এখনও অধরা বেবি কোলে।
ঘটনার পর চারদিন কেটে গেলেও পুলিশ অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে গ্রেফতার না করায় সরব হয়েছেন অনিল দাস। তাঁর বক্তব্য, “আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, পুলিশ তাদের নিয়ে এসে, আবার মারুতি করে ছেড়ে দিয়ে যাচ্ছে। আমি ছোটবেলা থেকে রাজনীতি করেছি। ছাত্র আন্দোলন করেছি। সোশ্যাল সেক্রেটারি ছিলাম। আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উত্থানপতন দেখেছি। কিন্তু প্রশাসনের ভূমিকা এখন খারাপ, আমি জীবনে প্রথম দেখলাম।” বুধবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনিও সরব হন।
পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনিল দাস। তাঁর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান, রাস্তায় ফেলে প্রকাশ্যে মারধর করা হয় খড়্গপুরের প্রবীণ বাম নেতা অনিল দাসকে। স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলের বিরুদ্ধে খড়্গপুর টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অনিল। এখনও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বিচার চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই বাম নেতা। আগামী সপ্তাহে মঙ্গল কিংবা বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা উঠতে পারে। এদিকে, তাঁর স্বামীকে মারধরের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখেছেন অনিল দাসের স্ত্রী সুস্মিতা দাস। স্বামীর উপর অত্যাচারের ন্যায়বিচার যেন পান, সেই আবেদন তিনি জানিয়েছেন।

