RG Kar Protest: অনশন মঞ্চেই জ্ঞান হারালেন পড়ুয়া, ‘আর কী হলে শুনবে স্বাস্থ্য দফতর?’ প্রশ্ন মায়ের

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Oct 23, 2021 | 8:17 PM

RG Kar Protest: আজ থেকে অনশন মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন পড়ুয়াদের মায়েরা।

RG Kar Protest: অনশন মঞ্চেই জ্ঞান হারালেন পড়ুয়া, আর কী হলে শুনবে স্বাস্থ্য দফতর? প্রশ্ন মায়ের
অনশন মঞ্চে উপস্থিত অভিভাবকেরা (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

কলকাতা : আর জি করে (RG Kar Hospital) অসুস্থ হয়ে পড়লেন অনশনরত আরও এক ছাত্র। অনশনের (Hunger Strike) ২০ দিনের মাথায় অসুস্থ হয়ে পড়লেন সিঞ্জন শিকারী (Sinjan Shikari) নামে ওই চিকিৎসক পড়ুয়ারা। শনিবার সন্ধেয় জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রক্ত পরীক্ষা সহ তাঁর বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর সিঞ্জনের রক্তচাপ ৮০ তে নেমে গিয়েছে। শারীরিকভাবে তিনি খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসা শুরু হলেও তাঁর জ্ঞান ফেরেনি বলে পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে সিঞ্জনের। সেই রিপোর্ট আসতে কিছুটা সময় লাগবে। এ দিন অনশন মঞ্চে যোগ দিয়েছেন বহু পড়ুয়ার অভিভাবক। উপস্থিত ছিলেন সিঞ্জনের মা-ও। এ দিন ছেলেকে এ ভাবে চোখের সামনে অসুস্থ হয়ে পড়ে যেতে দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতাল চত্বরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সিঞ্জনের মা। সরকার তথা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে তাঁর দাবি, যাতে দ্রুত পড়ুয়াদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া হয়।

এ দিন ২০ দিনে পড়ল আরজি করের অনশন। এ দিন সন্ধ্যায় প্রতিদিনের মতো মিছিল করেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা। মিছিলের সময় অনশন মঞ্চেই ছিলেন সিঞ্জন শিকারী। মিছিল থেকে ফিরে সিঞ্জনের মা দেখেন ছেলে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছে। তৎক্ষণাৎ তাঁকে চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ডে নিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। চোখের সামনে ছেলেকে অসুস্থ হতে দেখে মায়ের বক্তব্য, আর কী কী হলে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা শুনবে স্বাস্থ্য দফতর।

এক টানা ২০ দিন ধরে না খেয়ে প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবিতে অনশন আন্দোলন চালাচ্ছেন আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিত্সকরা। মাঝে পেরল উত্সবের মরশুম। তবুও আন্দোলনে নাছোড় তাঁরা। ইতিমধ্যেই সিসিইউতে ভর্তি রয়েছেন এক আন্দোলনকারী চিকিত্সক। এবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন আরও একজন। অনশনরত সন্তানদের পাশে দাঁড়াতে মঞ্চে হাজির হয়েছেন অভিভাবকরা। অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগের দাবিকে নৈতিক সমর্থন জানিয়ে করলেন প্রতীকী অনশন।

তাঁদের বক্তব্য, অন্য কোনও অধ্যক্ষের সময় তো সমস্যা হয়নি? সন্তানদের চিকিৎসক করার জন্য অধ্যক্ষের হাতে সন্তানদের সঁপে দিয়েছিলাম। সেই অধ্যক্ষের এমন দাম্ভিক আচরণ কেন? প্রশ্ন অভিভাবকদের। এক অনশনকারী ছাত্রের মায়ের আবেদন, “উৎসবের সময় না খেয়ে ছেলেমেয়েগুলো বসে রয়েছে। মায়ের বুক ফাটে না।”

অনশন মঞ্চে হাজির অভিভাবকেরা বলছেন, “মুখ্যমন্তী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন। একজন ছাত্র অনশনের জেরে সিসিইউয়ে চিকিৎসাধীন। প্লিজ কিছু করুন।” হাতজোড় করে আর্জি মায়েদের।

আরও পড়ুন : West Bengal Job: মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পাশেই ৮১০০০ টাকা মাইনের চাকরি পোস্ট অফিসে, জানুন আবেদন পদ্ধতি

Next Article