Anubrata Mandal: জেরায় সায়গলের দুর্নীতির দায় নিতে অস্বীকার করছেন অনুব্রত: সূত্র
Anubrata Mandal: অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, সায়গল নিছকই তাঁর দেহরক্ষী। তাঁর কোনও আর্থিক বিষয়ের সঙ্গে সায়গলের সম্পর্ক নেই।
কলকাতা : অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার আগেই গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। তাঁকে জেরা করে ইতিমধ্যেই পাচার সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। আদালতে চার্জশিটে সেই তথ্য পেশ করেছে সিবিআই। সায়গলের বয়ানেই অনুব্রতর যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি সিবিআই-এর। কিন্তু, সিবিআই সূত্রে খবর, জেরায় সায়গলের দুর্নীতির দায় নিতে অস্বীকার করেছেন অনুব্রত।
গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রতকে। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি। তাঁকে যে সব প্রশ্ন করা হচ্ছে, তাতে সায়গলের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে বলেই সূত্রের খবর। কিন্তু সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত দাবি করেছেন, সায়গল শুধুমাত্র তাঁর দেহরক্ষী। কোনও আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে সায়গলের কোনও সম্পর্ক নেই। চার্জশিটে সিবিআই উল্লেখ করেছে, নিরাপদে গরু পাচারের জন্য ঘুষ দিতে হত অনুব্রতকে। আর অনুব্রতর হয়ে সেই ঘুষ নিতেন সায়গল।
গত কয়েকদিন ধরে নিজাম প্যালেসে যে জেরা চলেছে, তাতে অনুব্রত সে সব কথা অস্বীকার করেছেন বলেই সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, অনুব্রত দাবি করেছেন, সায়গল যদি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে তার দায় সায়গলের। অনুব্রত কার্যত দায় নিতে চাইছেন না বলেই দাবি সিবিআই-এর।
এ দিকে, চার্জশিটে সিবিআই যে তথ্য পেশ করেছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, সায়গল হোসেন অনুব্রতর হয়ে ঘুষ নিতেন। সায়গলের আগে এই মামলায় ধরা পড়েছেন এনামুল হক। সূত্রের খবর, এনামুল আর সায়গলের বয়ান মিলে গিয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, এনামুলকে পাচারের জন্য প্রোটেকশন মানি হিসেবে দিতে হত বছরে প্রায় ২৪ কোটি টাকা। সায়গলের মাধ্য়েই নাকি সেই টাকা পৌঁছে যেত অনুব্রতর কাছে। ২০১১ সাল থেকে অনুব্রতর দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করেন কনস্টেবল সায়গল হোসেন। একজন কনস্টেবলের যে পরিমান সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তাতে স্বাভাবিকভাবেই উঠেছে প্রশ্ন। সে সব নিয়ে অনুব্রতকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।