Anubrata Mandal: ‘অনুব্রতর হয়ে ঘুষের টাকা নিতেন সায়গল’, সিবিআই-এর চার্জশিটে স্পষ্ট উল্লেখ

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 15, 2022 | 3:58 PM

Cattle Smuggling: গত মঙ্গলবার আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। এনামুল ও সায়গলের কল রেকর্ডের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

Anubrata Mandal: অনুব্রতর হয়ে ঘুষের টাকা নিতেন সায়গল, সিবিআই-এর চার্জশিটে স্পষ্ট উল্লেখ
গরু পাচার মামলায় সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত

Follow Us

কলকাতা : গরু পাচারের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সেই পাচার চক্রের সঙ্গে কী যোগ ছিল তৃণমূল নেতার? আদৌ কোনও যোগ ছিল কি না, এ সব প্রশ্ন সামনে আসছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কেষ্ট কী করেছে? কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হল?’ তবে সিবিআই-এর চার্জশিটে সরাসরি উল্লেখ করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের নাম। গত মঙ্গলবার সিবিআই বিশেষ আদালতে যে চার্জশিট জনা দিয়েছে, সেখানে অনুব্রতর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘অনুব্রতর হয়ে ঘুষের টাকা নিতেন সায়গল হোসেন।’

পেশায় রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন সায়গল। অনুব্রতর দেহরক্ষীর দায়িত্ব পালন করতেন তিনি। ২০০৫ সালে চাকরি পান আর ২০১১ সাল থেকে দেহরক্ষী হিসেবে সায়গল কাজ করতেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সায়গলের আয়-ব্যায়ের হিসেবও রয়েছে চার্জশিটে। সায়গলের আয় অর্থাৎ রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলের বেতনের সঙ্গে তাঁর সম্পত্তি ও ব্যায়ের কতটা অসঙ্গতি, সেটারই প্রমাণ দিয়েছে সিবিআই। ইলামবাজার, যেখানে গরুর হাট বসে প্রতি শনিবার, সেখানেই সায়গলের মায়ের নামে একটি পেট্রোল পাম্প রয়েছে, সে তথ্যও এসেছে সিবিআই-এর হাতে।

চার্জশিটের সেই পাতা

তবে অষ্টম পাতায় স্পষ্টভাবেই রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের নাম। চার্জশিটে যা লেখা রয়েছে, তার বাংলা অনুবাদ করলে হয়, ‘পুলিশ কনস্টেবল সায়গল হোসেন অনুব্রতর দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি অনুব্রতর হয়ে এনামুল হক ও আব্দুল লতিফের থেকে ঘুষের টাকা নিতেন।’ অর্থাৎ অনুব্রতর কাছে যে ঘুষের টাকা আসত, তেমনটাই দাবি সিবিআই-এর। চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, ঘুষের টাকার বদলে গরু পাচারকারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হত। সিবিআই-এর দাবি, বীরভূমের হাট থেকে গরু মুর্শিদাবাদে পাঠানো হত বাংলাদেশে পাচারের জন্য। আদালতে এনামুল ও সায়গলের কথোপকথনের কল রেকর্ডও পেশ করেছে সিবিআই।

উল্লেখ্য, চার্জশিটে সিবিআই এও দাবি করেছে যে এনামুলের কাছ থেকে প্রোটেকসন মানি হিসেবে নেওয়া হত বছরে ২৪ কোটি টাকা। সায়গল ও এনামুলের বয়ান মিলে গিয়েছে বলেও সিবিআই সূত্রে খবর।

তবে, তবে সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত ও এনামুলের মধ্যে টাকার ‘ডিল’ হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন অনুব্রত। গোয়েন্দাদের জেরায় তিনি নাকি সাপ্লাই চেনের কথা অস্বীকার করেছেন।

Next Article