কলকাতা: কলকাতা সহ রাজ্য জুড়ে স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন। মূল অনুষ্ঠান হবে রেড রোডে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রদর্শিত হবে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের ট্যাবলো। পুরস্কৃত করা হবে পুলিশ কর্মীদের। সব জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের দফতর, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হবে। সর্বত্র জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, প্রভাতফেরি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক থাকবে পুলিশ। রাজ্যের সব গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশনগুলিতে বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়কগুলিতে থাকবে পুলিশি টহল।
এ দিকে, রেড রোডের অনুষ্ঠানের জন্য নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। ১৪টি জ়োনে ভাগ করা হয়েছে রেড রোড ও তার আশপাশের এলাকাকে। প্রতিটি জ়োনের দায়িত্বে একজন ডেপুটি কমিশনার। এছাড়াও রয়েছেন যুগ্ম কমিশনার পদ মর্যাদার কয়েকজন পুলিশ অফিসার। মোট বারোশো পুলিশ কর্মী রেড রোডের নিরাপত্তায়। তৈরি করা হয়েছে ৬টি ওয়াচ টাওয়ার। শহরের ২৩টি জায়গায় নাকা চেকিং। ১৯টি জায়গায় রয়েছে পুলিশ পিকেট।
শুধু কলকাতা নয়, গোটা দেশে পালিত হচ্ছে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব। স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে তেরঙা আলোর ছটা সমগ্র দেশজুড়ে। সংসদ ভবন, সুপ্রিম কোর্ট থেক ইন্ডিয়া গেট। তেরঙ্গা আলোয় ঢাকল প্রশাসনিক ভবন, রেল স্টেশন থেকে মন্দির। উদযাপনে শামিল তিলোত্তমাও। তেরঙা আলোয় সাজল কলকাতা হাইকোর্ট, ভিক্টোরিয়া, হাওড়া ব্রিজ থেকে শহরের ঐতিহাসিক ভবন ও সৌধগুলি।
রবিবার মধ্যরাতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। খিদিরপুরে তৃণমূল কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মেয়র। ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। বিভাজন সরিয়ে দেশের ঐক্যকে মজবুত করার আহ্বান জানান ফিরহাদ হাকিম। এ দিন তিনি বলেন, ‘সবাইকে সং জানাই। আমাদের এই দেশে আমরা সকলে মিলে একসঙ্গে থাকব। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা ভারতীয়।’