কলকাতা: পিছিয়ে গেল তৃণমূলের বীরভূম দেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে করা এফআইআর খারিজের আবেদনের মামলা। আগামী ১৬ ডিসেম্বর হবে এই মামলার শুনানি। প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় ইডি। সেই মতো ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখানো হয়। সেই এফআইআর খারিজ করতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। শুনানি ছিল বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে। তবে ইডির বক্তব্য, এখনও তারা হাতে কপি পায়নি, সেই কারণে আরও সময় চাওয়া হয়েছে। ফলে আরও পিছিয়ে গেল অনুব্রতর এফআইআর খারিজের আবেদনের মামলা। আগামী ১৬ ডিসেম্বর হবে মামলার শুনানি।
আবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর করা মামলায় জামিনের আবেদন নিয়েও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই মামলাটিরও শুনানি রয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। দুই মামলাতেই তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল। আগামী দিনে অনুব্রত মণ্ডলের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে নির্ভর করছে দুই এজলাসের এই দুই মামলায়। ইডির করা এফআইআর খারিজের মামলা রয়েছে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে। অন্যদিকে সিবিআই-এর করা মামলায় জামিনের আর্জির শুনানি রয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিরে এজলাসে।
তাঁর বিরুদ্ধে করা ইডির এফআইআর খারিজের আবেদন দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু এদিন আদালত ইডিকে আরও সময় দেওয়ার কার্যত আরও পিছিয়ে গেল অনুব্রতর এফআইআর খারিজের আবেদনের শুনানি। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে ইডি। সেই প্রক্রিয়াও আইনি জটের মধ্যে রয়েছে। এদিকে আসানসোল সংশোধনাগারে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। ফলে এমন অবস্থায় হাইকোর্টে এই জোড়া মামলার উপর অনুব্রত মণ্ডলের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এখন দেখার ১৬ তারিখের শুনানির পর অনুব্রত মামলা পরবর্তী সময়ে কোন দিকে মোড় নেয়।