Anubrata Mondal: রাতারাতি এমনও হয়? শিব-কেষ্টর কেস নিয়ে কী বলছেন একদা দুঁদে পুলিশকর্তারা?

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 20, 2022 | 6:43 PM

Anubrata Mondal: এক বছর আগের ঘটনায় পুলিশ হেফাজত ঘিরে প্রশ্ন তুলছেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তারা।

Anubrata Mondal: রাতারাতি এমনও হয়? শিব-কেষ্টর কেস নিয়ে কী বলছেন একদা দুঁদে পুলিশকর্তারা?
কী বলছেন প্রাক্তন পুলিশকর্তারা?

Follow Us

কলকাতা : গলা টিপে ধরার অভিযোগে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত। এফআইআর আর গ্রেফতারির মধ্যে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধান। এমন আকস্মিক ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। ঘটনা পরম্পরা দেখে চমকে যাচ্ছেন প্রাক্তন পুলিশকর্তারাও। এমনভাবে গ্রেফতারি বা আদালতে হাজির করা কি আদৌ সম্ভব?

এক বছর আগের ঘটনায় পুলিশ হেফাজত ঘিরে প্রশ্ন তুলছেন খোদ প্রাক্তন পুলিশ কর্তা নজরুল ইসলামও। তিনি জানিয়েছেন, সাধারণত ৩ মাসের পুরনো ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ আগে প্রাথমিকভাবে একটা তদন্ত করে, তারপর মামলা শুরু করা হবে কি না, সেটা দেখে। তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে এক বছরের পুরনো ঘটনা। আগের দিন অভিযোগ হল, তার মধ্যেই প্রোডাকশন ওয়ারান্ট হয়ে গেল। সকালেই জেল থেকে বের করে এনে আদালতে পেশ করা হল, অভিযুক্ত জামিনের আবেদন করলেন না। সবটাই ছকে সাজানো মনে হচ্ছে।’

তাঁর মতে, ইডির এত তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন নেই। প্রাক্তন আইপিএস জানান, ইডি-র জায়গায় তিনি থাকলে সাতদিন সময় নিতেন, দেখতেন সাতদিন পর অনুব্রতকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে? নাকি আবার কেউ একজন নতুন করে মামলা করছে?

আর এক প্রাক্তন পুলিশকর্তা সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা কোনও কেসই নয়। এটা অনুব্রতর দিল্লি যাওয়া আটকানোর প্রচেষ্টা।’ তাঁর দাবি, গলা টিপে ধরলেই সেটা খুনের চেষ্টার অভিযোগ হয় না। তাঁর দ্বিতীয় প্রশ্ন, মে মাসে অনুব্রত কারও গলা টিপে ধরেছিলেন, একদিনের মধ্যে তার কী প্রমাণও পাওয়া সম্ভব? মামলায় কি কোনও সাক্ষী আছে? প্রাক্তন পুলিশকর্তা এই ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, এই পরিস্থিতিতে অনুব্রতকে বের করে আনতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে ইডি।

প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবীরাও। এক বছর আগে যদি কেউ কারও গলা টিপে ধরে থাকে, তাহলে কি আদৌ কোনও প্রমাণ থাকা সম্ভব? প্রমাণ না থাকলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল কিসের ভিত্তিতে? এই প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবীরা।

Next Article