কলকাতা : প্রায় এক সপ্তাহ বাদে জেল থেকে বেরলেন অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া অনুব্রত রয়েছেন আসানসোল জেলে। এ দিন সকাল থেকেই সংবাদমাধ্যমের ক্য়ামেরার সামনে যে ভাবে কথা বললেন তিনি, তাতে বোঝা গেল বজায় আছে বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডলের পুরনো মেজাজ। শারীরিক অবস্থা থেকে শুরু করে ভোট, সব প্রসঙ্গেই উত্তর দিলেন অনুব্রত। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শুনেই মেজাজ হারালেন? তাঁর উত্তর দেওয়ার ধরন দেখে তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার কিছু পরে বিধাননগরে পৌঁছন অনুব্রত মণ্ডল। পুলিশের গাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে তাঁকে। বিধাননগরে তিনি গাড়ি থেকে নামার পর তাঁকে সাংবাদিকরা বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় ইডি তলব করেছে।’ এ কথা শুনে অনুব্রত বলেন, ‘নাচব নাকি!’ কথায় কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ পায়।
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ওপর কি ক্ষুব্ধ কেষ্ট? তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর প্রকাশ্যে তাঁর পাশে থাকার বার্তা দিতে শোনা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কখনও কেষ্টকে পরোপকারী বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। কখনও আবার মমতা প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কেষ্টকে কেন গ্রেফতার করলেন?’ তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সে ভাবে প্রকাশ্যে কেষ্টর নাম করতে শোনা যায়নি।
শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বর্ধমানের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে অনুব্রতকে সরানোর সিদ্ধান্তও অভিষেক নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। তাঁকে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোটের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। উল্লেখ্য, কয়লা পাচার মামলায় ফের তলব করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। ২ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে তলব করা হয়েছে তাঁকে।
অন্যদিকে, বাম আমলের একটি মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য এ দিন তাঁকে বিধাননগর আদালতে নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলকোটের একটি ঘটনায় নাম জড়ানোয় তলব করা হয়েছিল তাঁকে। শুনানিতে অনুব্রত জানান, তিনি নির্দোষ।