কলকাতা: ধৃত জেএমবি জঙ্গিদের জেরা করে বুধবারই বারাসত থেকে লালু সেনকে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। লালুকে জেরা করে আবার একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের কাছে। সূত্রের খবর, বাংলাদেশি জঙ্গি নেতা আল আমিনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল লালুর। কোনও জেএমবি নেতা যদি এই রাজ্যে ধরা পড়ত তবে জামিনের ব্যবস্থাও করত লালুই। এমনকী, জাল নথিও এই লালুই তৈরি করে দিত। ধৃত লালু সেনকে এ দিন আদালতে তোলা হলে ২৮ জুলাই পর্যন্ত তার পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
ধৃত জঙ্গিদের জেরা করে জানা গিয়েছে, এপার বাংলায় জঙ্গিদের প্রধান লিঙ্কম্যান ছিল বারাসতের লালুই। হরিদেবপুর থেকে ধৃত তিন জেএমবি জঙ্গি জানিয়েছে, লালুর মদতেই তারা সমস্ত নথি জোগাড় করেছিল। বাংলাদেশ থেকে যে জঙ্গিই আসত না কেন, তার সবরকম ব্যবস্থা করার দায়িত্ব ছিল এই লালুর কাঁধেই। থাকা খাওয়া থেকে পরিচয়পত্র, সবটাই দেখত বারাসতের লালু। ধৃত জেএমবি জঙ্গি নাজিউরকে লালুর হদিশ দিয়েছিল জেলবন্দি জঙ্গি নেতা আল আমিনই। এমনটাও জানা গিয়েছে সূত্র মারফৎ। এখন গোয়েন্দাদের যে প্রশ্নটি বেশি করে ভাবাচ্ছে তা হল, ধৃত লালুও কি তবে কোনও ভাবে জেএমবি-র সঙ্গে যুক্ত ছিল? নাকি সে শুধু লিঙ্কম্যানের কাজই করত?
গোয়েন্দা সূত্রে আরও খবর, ধৃত ৩ জঙ্গিকে সমস্ত ধরনের আর্থিক সহযোগিতা করত লালু। জানা যাচ্ছে, সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় লালু সেন। সীমান্তের পরিভাষায়, লালু মূলত ‘ধূরের’ কাজ করত। নথি ছাড়াই মানুষকে এপার থেকে ওপার পৌঁছে দেওয়া বা সীমান্ত পেরিয়ে বিভিন্ন জিনিসের আদানপ্রদান- এসব করত লালু। সেই সূত্রেই তিন জঙ্গির সঙ্গে তার আলাপ। পরবর্তীকালে তিন জনকে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করেছে লালু। এসটিএফ বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করেছে। আর এই চক্রে আরও কে কে জড়িত, আর কার কার নথি লালু তৈরি করেছে, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।