কলকাতা: সোমবার বেলা ১২ টায় শুরু হয় বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। ১২ থেকে ১৩ মিনিট পরই সেই অধিবেশন মুলতুবি করার কথা ঘোষণা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, প্রাক্তন বিধায়কের মৃত্যু হয়েছে বলেই অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হল। এদিন বিল পেশ করা হলেও, রাজ্যপালের সম্মতি না থাকায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়নি। বিজেপির দাবি, প্রাক্তন বিধায়কের মৃত্যুর বিষয়টা অজুহাত মাত্র। আসলে রাজ্যপালের স্বাক্ষর না হওয়াতেই বিধানসভা মুলতুবি হয়ে গেল। এই অধিবেশন নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল বিজেপির। সোমবারও শুরু থেকেই বিক্ষোভ দেখান বিরোধী দলের বিধায়কেরা।
সম্প্রতি বিধায়ক ও মন্ত্রীদের ভাতা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই ভাতা বাড়াতে গেলে সংশোধনী আইন আনা প্রয়োজন, সেই সংশোধনী আনার জন্যই সোমবার ডাকা হয়েছিল অধিবেশন। বিধায়কদের ভাতা সংক্রান্ত বিলটি এদিন পেশ করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মন্ত্রীদের ভাতা সংক্রান্ত বিলটি পেশ করেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
এরপরই স্পিকার বলেন, ‘প্রাক্তন বিধায়ক মারা গিয়েছেন। তাই আলোচনা হবে না।’ এ কথা শুনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘সোজা কথা বলুন রাজ্যপাল সই করেননি।’ এরপরই বিধানসভা মুলতুবি হয়ে যায়।
গত ৩ অক্টোবর প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক দ্বিজেন্দ্র নাথ রায়। ১৯৮১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কুমারগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন তিনি। মাঝে ১৯৮৭ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত বিধায়ক ছিলেন না। তাঁর মৃত্যুর জন্য বিধানসভা মুলতুবি হয়ে যায় এদিন। পরে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বিলে পেশ করার পর আলোচনার জন্য রাজ্যপালের অনুমোদন লাগে। সেটা না মেলায় আলোচনা হয়নি। অনুমোদন দিলে আলোচনা হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, “আবার বিশেষ অধিবেশন হতে পারে। তবে সেটা স্পিকারের উপর নির্ভর করবে।” এদিকে বিজেপি বলছে, তৃণমূলের অপদার্থতার জন্যই আজ মুখ পুড়ল সরকারের।