কলকাতা: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুন হওয়ার ২ বছর পর তাঁর পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। অভিজিৎ সরকারের মা ও ভাই দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। পরে পুলিশকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হলেও অভিযোগ ওঠে, মদ্যপ অবস্থায় গিয়েছিলেন পুলিশকর্মী। শুধু তাই নয়, বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায়, যাঁরা জেলবন্দি, তাঁদের পরিবারের লোকজন অভিজিতের বাড়িতে হামলা চালায় বলেও অভিযোগ ওঠে। এই ইস্যুতে মামলা হয় হাইকোর্টে। সোমবার সেই মামলায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দিয়েছেন, ওই পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিতে হবে।
হাইকোর্টের নির্দেশেই কলকাতা পুলিশ ওই পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্ব পেয়েছিল। পরে অভিযোগ ওঠে, কখনও মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করতে যাচ্ছেন তাঁরা, কখনও চলে যাচ্ছেন সাধারণ পোশাকেই। সেই সব অভিযোগের প্রমাণ স্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজও জমা দেন অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগীয় তদন্তও করে পুলিশ। সোমবার কেন্দ্র জানিয়েছে, এই রাজ্যের কেন্দ্রীয় বাহিনী মাওবাদী দমনে ব্যস্ত, তবে আদালত নির্দেশ দিলে নিরাপত্তা দেবে বাহিনী।
২০২১ সালের ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন বিকেলেই মৃত্যু হয় অভিজিৎ সরকারের। কাঁকুড়গাছির ওই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে সে দিন কেউ বা কারা হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। আদালতের নির্দেশে ওই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকেই নিরাপত্তার অভাবের কথা জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিশ্বজিৎ সরকার।