কলকাতা: আড়িয়াদহের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বাহুবলীদের গুন্ডাগিরির ছবি ভাইরাল। ঘটনাস্থল সিঁথি। অভিযোগ, ৫ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় প্রোমোটার অভিজিৎ সরকারের অফিসে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় শনিবার রাত থেকেই শোরগোল চলছে শহর কলকাতায়। এরইমধ্যে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে কাশিপুর থানার পুলিশ। মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ মণ্ডল ওরফে রানাকে শনিবার মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল বিকালেই গ্রেফতার করা হয়েছিল জিতেন কুমার পাল এবং কানোয়ালজিৎ শী ওরফে কানু নামে দুই অভিযুক্তকে। রবিবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও দু’জনকে।
গ্রেফতার করা হয় সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশাল দেব, মনু পাণ্ডেকেও। শনিবারের ঘটনার পর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত সহ এই ছয় জনকে। এদিন আদালতে পেশ করা হবে এই ছয় অভিযুক্তকে। হামলার সিসিটিভি-র ফুটেজও ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। তা দেখেই চিহ্নিত করা হয় ৬ জনকে।
আক্রান্ত প্রোমোটারের দাবি, হামলাকারীরা নিজেদের কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচয় দেয়। তাঁদের মুখে শোনা যায় আড়িয়াদহের জয়ন্ত সিং গ্যাংয়ের নামও। এদিকে রানার সঙ্গে ইতিমধ্যেই অতীন ঘোষ, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একাধিক সিনিয়র তৃণমূল নেতার ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়েও শুরু হয়েছে জলঘোলা। রানাকে তিনি ভালভাবেই চেনেন বলে জানিয়েও ঘটনার দায় ঝেড়ে ফেলেছেন অতীন। তবে রানাকে সজ্জন ব্যক্তি বলেও সার্টিফিকেট দিয়েছেন। একসঙ্গে শাস্তির কথা বলে তিনি জানা, “আমি বলছি ও তৃণমূলের দীর্ঘদিনের সক্রিয় কর্মী। তবে সিঁথি থানা বা কাশীপুর থানায় ওর নামে কোনও কেস নেই। পুলিশ যে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে তা আমি পূর্ণ সমর্থন করি। ও দোষ করে থাকলে ওর সাজা পাওয়া উচিত।”