কলকাতা: উত্তাল বাংলাদেশ। এদিকে বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ আসেন কলকাতায় চিকিৎসার জন্য। সোমবারই কলকাতায় এসেছেন আওয়ামী লিগের ১০ নম্বর সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকি। আর কলকাতায় এসেই শোনেন তাঁর দেশ জ্বলছে। আতঙ্কে আশঙ্কায় ভুগছেন তিনি। বলেন, কলকাতায় নামতেই ফোন আসে বাড়ি থেকে। সবটা শুনে উদ্বেগে তিনি।
যশোরের কেশবপুর থানার সাতবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কর সিদ্দিকি। তিনি জানান, ছেলের দোকান থেকে ১০ লক্ষ টাকা নগদ এবং ২৫-৩০ লক্ষ টাকার মোবাইল লুট হয়েছে একদিনে। তিনি নিজেও ব্রিক ফিল্ডের ব্যবসায়ী। শেখানেও লুটপাট চালানো হয়েছে। সোমবারই আবু বক্কর ইএমবাইপাস সংলগ্ন একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন।
সেখানে আসার পরই জানতে পারেন তাঁর ছেলের দোকানে এবং তাঁর কাজের জায়গায় লুঠপাট করা হয়েছে, চলেছে ভাঙচুর। আতঙ্কে রয়েছেন এই ব্যবসায়ী। পরিজনদের নিয়েও চিন্তায়। আবু বক্কর চাইছেন দেশে ফিরতে, বাড়ি ফিরতে। কিন্তু ফিরবেন কোন পথে, তা নিয়েও উদ্বেগে।
মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালের উল্টোদিকে শ্যামলী পরিবহণ সংস্থার গুমটি। এই এলাকায় চার থেকে পাঁচটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে যে বাংলাদেশি রোগীরা আসেন, তাঁরা এখান থেকেই টিকিট কেটে থাকেন। দৈনিক গড়ে ২৫-৩০টি টিকিট বিক্রি হয়। এখন তা ৫-৬-এ এসে দাঁড়িয়েছে। পরিবহণ ব্যবসায় ধাক্কা খাচ্ছেন গত কয়েকদিন ধরেই। এই ধাক্কা কতদিন আর চলবে সেটা নিয়ে চিন্তায় ওই পরিবহণ ব্যবসায়ী।