কলকাতা : মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগের মামলায় এখন শিরোনামে ববিতা সরকার। শিক্ষার দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের চাকরিতে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে তিনিই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এবার ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ছাত্র-যুব অধিকার মঞ্চে উপস্থিত ববিতা সরকার। ৪৪৬ দিন ধরে এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তিনি। ববিতার দাবি, এসএসসির নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। অথচ, অজ্ঞাত কোনও কারণে এসএসসি কর্তৃপক্ষ এই নিয়োগ প্রক্রিয়া করছে না। তিনি বলেন, “আমাদের নিয়োগের উপর সিবিআইের কোনও বাধা নেই বা হাইকোর্টের কোনও স্থগিতাদেশ নেই। নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেধাতালিকায় যারা অপেক্ষমান রয়েছেন, কমিশন যদি আজই আমাদের নিয়োগপত্র দিতে চায়, তা দিতে পারবে। কিন্তু কেন দিচ্ছে না, আমি সেটা বুঝে উঠতে পারছি না।”
এর পাশাপাশি মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “২০১৯ সালে যখন প্রেস ক্লাবের সামনে আমাদের অনশন চলছিল, তখন এই বিষয়টিকেই সামনে রেখেই করা হয়েছিল যে উনি কীভাবে অ্যাড হলেন? এর উত্তর আমরা চাই। কিন্তু কোনও সদুত্তর এখনও পর্যন্ত পাইনি। বাধ্য হয়ে যখন অক্টোবর মাসে আবার অনশন শুরু হল, তখন আমি আইনি পথে জানতে হবে, কীভাবে তিনি অ্যাড হলেন? সেটা আমাদের জানতে হবে।”
উল্লেখ্য, নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেই আন্দোলনের ঝাঁঝকে এখন অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে মন্ত্রীকন্যার বিরুদ্ধে মামলায় ববিতা সরকারের সাফল্য। চারিদিকে শোরগোল পড়ে গিয়েছে, তাঁকে নিয়েই। শিলিগুড়ির প্রবীণ বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য তো জানিয়েই দিয়েছেন, ববিতার লড়াই এখন অনেককে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে। আর এরই মধ্যে, ধর্মতলায় ছাত্র-যুব অধিকার মঞ্চে দেখা গেল ববিতা সরকারকে। বৃহস্পতিবারই তদন্তের স্বার্থে ববিতা সরকারকে সিবিআই অফিসে ডেকে পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। নিজের আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়েই সিবিআই অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ববিতার থেকে বিভিন্ন বিষয়গুলি নিয়ে আরও স্পষ্ট হয়েছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। আর এরপরই আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়িয়ে ছাত্র-যুব অধিকার মঞ্চে হাজির ববিতা।