কলকাতা: সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriy0)। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ইস্তফা দেবেন তিনি। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা কাছে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেবেন তিনি।
তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পর থেকেই তাঁর সাংসদ পদ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। তাহলে কি বাবুলকে রাজ্যসভায় পাঠানো হচ্ছে? নাকি অন্য কোনও বড় দায়িত্ব দেওয়া হবে বাবুলকে? তবে বরিবারই তৃণমূল ভবনে সাংসদ সৌগত রায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েনের পাশে বসে তিনি বলেছিলেন, সাংসদ পদ ছাড়তে চলেছেন তিনি।
আসানসোলে বিজেপির টিকিটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। বিজেপি ছেড়েছেন, তাই সেই দলের টিকিটে জেতা পদ তিনি দখল করে রাখবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। সাংসদ পদ ছাড়ার ঘোষণার পরই জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে বাবুলের সামনে কোনও ‘বড় সুযোগ’ এসেছে? সে বিষয়ে অবশ্য কোনও ‘ক্লু’ পাননি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বাবুল সুপ্রিয়ও এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের ব্যাখ্যা, বাবুলকে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে। সেজন্য অর্পিতা ঘোষ পদত্যাগ করেছেন। তাঁর জায়গায় বাবুলকে পাঠাতে পারে তৃণমূল। আবার এই বক্তব্যকে লঙ্ঘন করছে অপর যুক্তি। কারণ চব্বিশের দিকে তাকিয়ে তৃণমূল এখন আক্ষরিক অর্থেই সর্বভারতীয় স্তরে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে। সেই লক্ষ্যে বাবুলকে এ রাজ্য থেকে রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠানোয় কোনও লাভ হবে না তৃণমূলের। বাইরের রাজ্যের কাউকে পাঠানো হতে পারে। বাবুলকে কোনও মন্ত্রীও করা হতে পারে বাংলার।
দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর বিজেপিতে থাকলেও সংগঠনের সঙ্গে গাঁটছড়া কখনই মজবুত হয়নি বাবুলের। মন্ত্রিত্ব হারানোর পর যে বিষয়টি আরও বিপক্ষে যায় আসানসোলের সাংসদের। এমন কানাঘুষোও শোনা যায় যে, বঙ্গ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর ভূমিকায় খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না। যে কারণে মন্ত্রিত্ব হারা বাবুলকে সংগঠনের কোনও ভূমিকাতেও দেখা যায়নি। ফলে পদ্ম ঘরে ক্রমশই কোণঠাসা হয়ে পড়ছিলেন এই গায়ক-সাংসদ।
মন্ত্রিত্ব হারানোর পর তিনি নিজে এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে তার বহিঃপ্রকাশ সোশ্যাল মিডিয়াতেই বারংবার দেখা যায়। সঙ্গে বাবুল এটাও দাবি করেন যে তিনি কখনই বিজেপি ছাড়া অন্য কোনও দলকে সমর্থন করবেন না। যদিও সেসব এখন অতীত। আপাতত নতুন ছকে বাবুল। একদা প্রতিপক্ষ অভিষেকের হাতে হাত রেখে নতুন পথ চলার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। বাবুলের কথায়, “প্রথম একাদশে সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি মমতা দিদি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”