কলকাতা : বিধায়ক পদে নির্বাচিত হয়েছেন অনেক আগেই। কিন্তু নানা জটিলতায় শপথ গ্রহণ আটকে ছিল বাবুল সুপ্রিয়ের। অবশেষে সব জটিলতা কাটিয়ে শপথ নিলেন বাবুল। কিন্তু এখনও নিজেকে বিধায়ক বলতে গিয়ে ভুল করে ফেললেন প্রাক্তন সাংসদ। দীর্ঘ প্রায় আট বছর ধরে আসানসোলের সাংসদ হিসেবে ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এ দিন শপথ নেওয়ার পর বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, এই প্রথমবার বিধানসভায় এসেছেন তিনি।
শপথ না হওয়ায় কি বিধায়ক হিসেবে কাজ করতে পারছিলেন না বাবুল? এই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। যে দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ওই কেন্দ্রের জন্য মনোনীত করেছেন, সে দিন থেকেই বালিগঞ্জকে নিজের কেন্দ্র বলে মনে করেছেন, এমনটাই দাবি বাবুলের। তবে বুধবার শপথ নেওয়ার পর তিনি নথিপত্রে সই করেছেন। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করতে পারবেন তিনি। এমএলএ ল্যাডের টাকার হিসেব দেখতে পারবেন এ কথা বলতে গিয়ে বাবুল বলে ফেলেন ‘এমপি ল্যাড’। তারপর হেসে ফেলে বলেন, ‘এটা সারতে একটি সময় লাগবে।’ অর্থাৎ এখনও নিজেকে সাংসদ বলার অভ্যাস যায়নি তাঁর।
যেখানে স্পিকার আছে, সেখানে ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয় না। কখনও এমন হয়েছে বলে জানা নেই। শপথ গ্রহণের পর এমনটাই বলেন বাবুল। তিনি উল্লেখ করেন, অস্বস্তিকর পরিবেশ হয়েছিল, তবে সব ভাল যার, শেষ ভাল।
বাবুল জানান, যে দিন তাঁর নাম বালিগঞ্জের জন্য ঘোষণা করা হয়েছিল, সে দিন থেকেই মানসিকভাবে তৈরি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, কুৎসার রাজনীতি যে মানুষ পছন্দ করে না, সেটা বোঝা গিয়েছে। বিরাট জয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বাবুল আরও বলেন, ‘মানুষের অনেক আশা আছে। সেগুলো যেন পূরণ করতে পারি।’
সাংসদ হিসেবে যে তাঁর অভিজ্ঞতা খুব ভাল, সে কথা এ দিন উল্লেখ করেন বাবুল। তাঁর দাবি, প্রথমবার ভাল ফল হয়েছিল। কিন্তু পরের বার ফলটাই আসল রিপোর্ট কার্ড। আসানসোলের জন্য অনেক কাজ করেছিলেন বলেই পরের বার তিনগুণ ভোটে জিতেছেন বলে দাবি তৃণমূল বিধায়কের।
তবে আসানসোলকে মিস করবেন না তিনি। শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে হাত মিলিয়ে আসানসোলে বাকি থাকা কাজ শেষ করবেন বলে উল্লেখ করেছেন বাবুল। তবে এ দিনও তিনি দাবি করেন, ভাল কাজ করার পরও তাঁর কোনও পদোন্নতি হয়নি, তাই কেন্দ্রের মন্ত্রী হিসেবে তাঁর মনে হয়েছিল, বাঙালি বলে তাঁকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে।