কলকাতা : নারদ মামলায় (Narada Case) নিশ্চিত হল জামিন। পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র, প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জামিন নিশ্চিত করা হল শুক্রবার। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এ দিন ওই তিন নেতা ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজিরা দেন। শুধু মদন, শোভন ও ফিরহাদই নয়। সাসপেন্ডেড আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জাকেও এই মামলায় এ দিন উপস্থিত হতে হয় আদালতে। মাস দেড়েক আগে এই মামলায় চার্জশিট পেশ করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর সেই চার্জশিটে নাম ছিল এই চারজনের। এ ছাড়া প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়েরও নাম ছিল চার্জশিটে। নারদ মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি যে চার্জশিট পেশ করে, তাতে এই চারজন ছাড়াও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম ছিল। তবে এর মধ্যে কয়েকমাস আগে প্রয়াত হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
আদালতের নির্দেশমতো এ দিন ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও এসএমএইচ মির্জা ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজিরা দেন। আগামী ১৬ মার্চ তাঁদের জামিনের কপি হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সে দিন তাঁরা আদালতে হাজির না থাকলেও চলবে।
এর আগে হত নভেম্বর মাসে নারদ মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয় ফিরহাদ, শোভন ও মদনকে। কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরার পর তাঁদের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করা হয়। ২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তী জামিন পান তাঁরা। দেশ ছাড়তে পারবেন না কেউই, এই শর্তেই জামিন মঞ্জুর করা হয়েছিল তিন নেতার।
গত বছরের ১৭ মে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও আর এক নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁদের গৃহবন্দি করার কথা বলা হয়। বৃহত্তর বেঞ্চে চলে সেই মামলার শুনানি।
আরও পড়ুন : Suvendu on Mukul Roy: ‘ঢাক-ঢোল-কাড়া-নাকাড়া বাজিয়ে’ তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল, প্রমাণ দিয়েছেন শুভেন্দুর আইনজীবী
আরও পড়ুন : TMC Clash: একই মঞ্চে উঠে লাগাতার আক্রমণ! শাসকদলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত ‘মল্লরাজধানীর’ রাজনীতি