কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। দফায় দফায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার জন্য বাংলা পক্ষকে দায়ী করেন শুভেন্দু। তিনি দাবি করেন, ওই ধরনের সংগঠনের উস্কানির জন্যই ঘটেছে এমন ঘটনা। তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে বাংলা পক্ষ। পরে বৃহস্পতিবারই যাদবপুর থানায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের। সেই ঘটনার পিছনে কারণ হিসেবে র্যাগিং-এর কথাই অনুমান করছে পুলিশ। সেই নিয়ে তদন্ত চলছে। একাধিক প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্যও শুনছে পুলিশ।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিজেপির যুব মোর্চা ধরনায় বসে যাদবপুর থানায়। সেখানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা থেকেই বাংলা পক্ষের নাম নেন শুভেন্দু। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছে ওই সংগঠন। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সৌরভ চৌধুরী ওই সংগঠনের সদস্য বলেও দাবি করেন বিজেপি বিধায়ক।
এই বক্তব্যের পর এফআইআর দায়ের করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা গর্গ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী বারবার অবাস্তব কথা বলছেন। সৌরভ চৌধুরী তথা ধৃতদের কারও সঙ্গে কোনও যোগ নেই বাংলা পক্ষের। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা পক্ষের কোনও ইউনিটও নেই।’ গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, আসল দোষীদের থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যই এইভাবে সংগঠনের নাম নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই যাদবপুর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শুভেন্দুকে কালো পতাকা দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। আরএসএফ ছাত্র সংগঠনের সক্রিয় সদস্য এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ বিজেপির।