কলকাতা: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ‘মাথার উপরে শুট করতাম’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ করে দিল আদালত। বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে (Bankshal Court) ওই মামলা খারিজ হয়ে যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই মন্তব্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তবে ব্যাঙ্কশাল আদালত সেই মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ায় স্বস্তি পেলেন অভিষেক। প্রসঙ্গত, বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে শহরে যে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে আহত হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিত্ চট্টোপাধ্যায়। আহত পুলিশ আধিকারিককে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওই মন্তব্য করেছিলেন।
কী বলেছিলেন অভিষেক? আহত পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেছিলেন, “দেবজিৎ বাবুকে বললাম, আমি আপনাকে স্যালুট জানাই, আপনি কিছু করেননি। আপনার জায়গায় যদি আমি থাকতাম, আমার সামনে যদি পুলিশের গাড়িতে আগুন জ্বলত, আমি মাথার উপরে শুট করতাম।” আর অভিষেকের সেই ‘মাথায় শুট’ মন্তব্য ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। অভিষেকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন বিজেপির নবান্ন অভিযানের তীব্র নিন্দা করে আরও বলেছিলেন, “যখন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়েছিল, সেই দৃশ্যেরই এক পুনরাবৃত্তি বলা যেতে পারে। আন্দোলনের নামে গুন্ডামি, ভন্ডামি, দাদাগিরি করে, গায়ের জোরে, দুর্বৃত্তদের কাজে লাগিয়ে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে। পুলিশকে নির্মমভাবে লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে। এমনকী লোহার রড দিয়ে মেরেছে।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই মন্তব্যের পর তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। আদালতে মামলা করার পর সুকান্ত বলেছিলেন, “প্রথমে আমরা থানায় গিয়েছিলাম মামলা করার জন্য। সেই সময় আমাদের মামলা নেওয়া হয়নি। যখন আমরা আদালতের দ্বারস্থ হলাম, কোনও লোকাস স্ট্যান্ডি না থাকা সত্ত্বেও সরকারের আইনজীবী দলবল নিয়ে এসে, যেভাবে রাজনৈতিক দলগুলি শাউটিং করে, সেইরকম আচরণ করেছেন। যাতে সাবমিশন ঠিক মতো না হয়, সেই কারণে গুন্ডামি, মস্তানি করেছেন।” তবে সেই মামলা বুধবার খারিজ করে দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত।