পর পর তিন মাসে ৩ বার করোনা পজিটিভ, শেষ ধাক্কায় মৃত্যু! বিরল ঘটনার সাক্ষী বাংলা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 31, 2021 | 3:07 PM

COVID19: সম্প্রতি মুম্বইয়ে দেখা গিয়েছিল ১৩ মাসে তিন বার করোনা আক্রান্ত হন এক তরুণী চিকিৎসক।

Follow Us

কলকাতা: পর পর তিন মাসে তিনবার সংক্রমণ। শেষ ধাক্কায় মারাই গেলেন করোনা আক্রান্ত। এই ঘটনা ঘিরে তুমুল হইচই চিকিৎসক মহলে। বিশেষজ্ঞদের বড় অংশই মানছেন, বারাসতের ডালিয়া বিবির পরিণতি অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং অবশ্যই বিরল। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যেও কী ভাবে শরীরে একাধিকবার সংক্রমণ দানা বাঁধল তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

২৮ বছরের ডালিয়া বিবি। গত মে মাসে অসুস্থ হয়েছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি হন করোনা পজিটিভ হয়ে। ২৯ মে রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে ছাড়া পান তিনি। ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন জুন মাসে। আবার কোভিড পরীক্ষা করা হলে ১১ জুন আরটিপিসিআর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এনআরএস হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। সেখান থেকেও করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন ডালিয়া।

জুলাই মাসে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আবারও সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু এই ধাক্কা সামলাতে পারেননি তিনি। মৃত্যু হয় তাঁর। তিন মাসে ডালিয়া বিবির কোভিড রিপোর্ট কখনও পজিটিভ, কখনও নেগেটিভ। যা অত্যন্ত বিরল বলেই মানছেন চিকিৎসকরা। ডালিয়া বিবির ভাইয়ের কথায়, “আমরা ডাক্তারের কাছে গেলে তিনিও হতবাক হয়ে যান। উনি বলেন, এই করোনাকালে আমি এমন ঘটনা দেখিনি।”

কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রক্তরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রসূন ভট্টাচার্য বলেন, “এমন ঘটনা আমাদের নজরে নেই। এই ঘটনা সত্যি করেই আমাদের নতুন করে ভাবাবে। এটি অত্যন্ত বিরল ঘটনা। এখান থেকেও আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও খোঁজ খবর করা দরকার, কেন এমন ঘটনা ঘটল।”

অন্যদিকে ভাইরোলজিস্ট সুমন পোদ্দারের কথায়, “এমন ঘটনা আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার করে তথ্য-সহ আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ করা উচিত আমাদের। বিশ্বের কাছে এটা একটা অন্যতম উদাহরণ হতে পারে। আমার মতে ,এক্ষেত্রে দু’টি সম্ভাবনার বিষয় রয়েছে। প্রথমত, পরপর তিনবার তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক বারই আলাদা আলাদা স্ট্রেন এ আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন ওই মহিলা। আবার তার নিজেরই ইমিউনিটি ডাউন হয়ে থাকায় অ্যান্টিবডি তৈরি না হয়ে থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রেও বার বার আক্রান্ত হতে পারেন তিনি। সব মিলিয়ে বিষয়টি গবেষণামূলক।”

ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। তবে হালে প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটে মুম্বইয়ে। তিনবার করোনা আক্রান্ত হন মুম্বইয়ের এক চিকিৎসক। ১৩ মাসের মধ্যে তিনবার করোনার কবলে পড়েন ২৬ বছরের ওই তরুণী। টিকার দু’টি ডোজ় নেওয়ার পরও সংক্রমণ হয় তাঁর। জিনোম সিক্যোয়েন্সিংয়ের জন্য তরুণীর দেহ থেকে নমুনাও সংগ্রহ করে বিএমসি। মুম্বইয়ের চিকিৎসকের সঙ্গে ডালিয়া বিবির ঘটনার ফারাক থাকলেও অল্প সময়ে বার বার সংক্রমণ কাছাকাছি এনে দিয়েছে দু’টি ঘটনাকে।

এর আগে এই কলকাতা শহরেই কলকাতা মেডিকেল কলেজে প্রথম বার সেখানকার এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার শাহ হোসেন বারি, প্রথমবার কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। পরে সুস্থ হন। রিপোর্ট নেগেটিভ হয়। তারপর আবার অসুস্থ হন। রিপোর্ট পজিটিভ হয়। পরে আবার নেগেটিভ। ওই মেডিকেল কলেজেরই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কুন্তল বিশ্বাস। তিনিও ঠিক একইভাবে পরপর দুবার আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনাতে। আরও পড়ুন: ‘দিদিমণি দিল্লি গেলেন, কলকাতাও লন্ডনের বদলে ভেনিস হয়ে গেল’, জলযন্ত্রণা নিয়ে মমতাকে খোঁচা দিলীপের

কলকাতা: পর পর তিন মাসে তিনবার সংক্রমণ। শেষ ধাক্কায় মারাই গেলেন করোনা আক্রান্ত। এই ঘটনা ঘিরে তুমুল হইচই চিকিৎসক মহলে। বিশেষজ্ঞদের বড় অংশই মানছেন, বারাসতের ডালিয়া বিবির পরিণতি অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং অবশ্যই বিরল। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যেও কী ভাবে শরীরে একাধিকবার সংক্রমণ দানা বাঁধল তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

২৮ বছরের ডালিয়া বিবি। গত মে মাসে অসুস্থ হয়েছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি হন করোনা পজিটিভ হয়ে। ২৯ মে রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে ছাড়া পান তিনি। ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন জুন মাসে। আবার কোভিড পরীক্ষা করা হলে ১১ জুন আরটিপিসিআর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এনআরএস হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। সেখান থেকেও করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন ডালিয়া।

জুলাই মাসে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আবারও সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু এই ধাক্কা সামলাতে পারেননি তিনি। মৃত্যু হয় তাঁর। তিন মাসে ডালিয়া বিবির কোভিড রিপোর্ট কখনও পজিটিভ, কখনও নেগেটিভ। যা অত্যন্ত বিরল বলেই মানছেন চিকিৎসকরা। ডালিয়া বিবির ভাইয়ের কথায়, “আমরা ডাক্তারের কাছে গেলে তিনিও হতবাক হয়ে যান। উনি বলেন, এই করোনাকালে আমি এমন ঘটনা দেখিনি।”

কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রক্তরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রসূন ভট্টাচার্য বলেন, “এমন ঘটনা আমাদের নজরে নেই। এই ঘটনা সত্যি করেই আমাদের নতুন করে ভাবাবে। এটি অত্যন্ত বিরল ঘটনা। এখান থেকেও আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও খোঁজ খবর করা দরকার, কেন এমন ঘটনা ঘটল।”

অন্যদিকে ভাইরোলজিস্ট সুমন পোদ্দারের কথায়, “এমন ঘটনা আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার করে তথ্য-সহ আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ করা উচিত আমাদের। বিশ্বের কাছে এটা একটা অন্যতম উদাহরণ হতে পারে। আমার মতে ,এক্ষেত্রে দু’টি সম্ভাবনার বিষয় রয়েছে। প্রথমত, পরপর তিনবার তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক বারই আলাদা আলাদা স্ট্রেন এ আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন ওই মহিলা। আবার তার নিজেরই ইমিউনিটি ডাউন হয়ে থাকায় অ্যান্টিবডি তৈরি না হয়ে থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রেও বার বার আক্রান্ত হতে পারেন তিনি। সব মিলিয়ে বিষয়টি গবেষণামূলক।”

ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। তবে হালে প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটে মুম্বইয়ে। তিনবার করোনা আক্রান্ত হন মুম্বইয়ের এক চিকিৎসক। ১৩ মাসের মধ্যে তিনবার করোনার কবলে পড়েন ২৬ বছরের ওই তরুণী। টিকার দু’টি ডোজ় নেওয়ার পরও সংক্রমণ হয় তাঁর। জিনোম সিক্যোয়েন্সিংয়ের জন্য তরুণীর দেহ থেকে নমুনাও সংগ্রহ করে বিএমসি। মুম্বইয়ের চিকিৎসকের সঙ্গে ডালিয়া বিবির ঘটনার ফারাক থাকলেও অল্প সময়ে বার বার সংক্রমণ কাছাকাছি এনে দিয়েছে দু’টি ঘটনাকে।

এর আগে এই কলকাতা শহরেই কলকাতা মেডিকেল কলেজে প্রথম বার সেখানকার এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার শাহ হোসেন বারি, প্রথমবার কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। পরে সুস্থ হন। রিপোর্ট নেগেটিভ হয়। তারপর আবার অসুস্থ হন। রিপোর্ট পজিটিভ হয়। পরে আবার নেগেটিভ। ওই মেডিকেল কলেজেরই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কুন্তল বিশ্বাস। তিনিও ঠিক একইভাবে পরপর দুবার আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনাতে। আরও পড়ুন: ‘দিদিমণি দিল্লি গেলেন, কলকাতাও লন্ডনের বদলে ভেনিস হয়ে গেল’, জলযন্ত্রণা নিয়ে মমতাকে খোঁচা দিলীপের

Next Article