কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি, গরুপাচার, কয়লা কেলেঙ্কারি একের পর এক কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে শাসকদল তৃণমূলের। এ দিকে, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তারপরই লোকসভা নির্বাচন। বিরোধীরা একজোট হয়ে ভোটের আগে শাসকদলের দুর্নীতির অভিযোগগুলিকে জনসমক্ষে আনছে। এই পরিস্থিতি আসরে ঘাসফুল শিবিরও। পঞ্চায়েতে রীতিমত মুখ রক্ষার চ্য়ালেঞ্জ শাসক দলের। কোন প্রকল্পে কত কাজ হয়েছে, বরাদ্দের কত শতাংশ খরচ সেই রিপোর্ট তলব করেছে মুখ্যসচিব
আগমী ১৯ শে এপ্রিলের মধ্যে বিভিন্ন দফতর ধরে-ধরে এই রিপোর্ট চেয়েছেন মুখ্যসচিব। এই রিপোর্ট কার্ড দেখবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৬ এপ্রিল নবান্ন সভাঘরে হবে বৈঠক। সেই বৈঠকের আগেই সব দফতরের কাছ থেকে কাজের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে কোন দফতর কোন প্রকল্পের জন্য কত টাকা পেয়েছে, কত টাকা খরচ হয়েছে তার তথ্যও যেমন চাওয়া হয়েছে, তেমনি কোনও প্রকল্পের টাকা খরচ না হয়ে থাকলে কেন হয়নি তার সব তথ্য ১৯ এপ্রিলের মধ্যে সেই সকল তথ্য ইমেল মারফত জানাতে বলা হয়েছে।
ওই রিপোর্ট কার্ড নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৬ এপ্রিল প্রশাসনিক বৈঠকে বসবেন। সংশ্লিষ্ট বৈঠকে সব দফতরের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব, যুগ্মসচিবদের ডাকা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই বৈঠক খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, জেলায়-জেলায় ইতিমধ্যেই সফর শুরু করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের সফর সেরে ফিরেছেন মমতা। বুধবার বাঁকুড়ায় সভা করেন অভিষেক। উভয়ই একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধনা করেন। ওয়াকিবহালের মতে, ভোটের আগে একদিকে যেমন দলীয় কর্মীদের বার্তা দিতে জেলা সফরে যাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্বরা। অন্যদিকে প্রশাসনিক বৈঠক করে ‘উন্নয়নের’ খতিয়ানও দেখতে চাইছে নবান্ন।