কলকাতা: সামনেই রাজ্যের বকেয়া পুরনির্বাচন তো রয়েছেই। এছাড়াও রয়েছে, ভিন রাজ্যে একাধিক বিধানসভা নির্বাচন। ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন। সব মিলিয়ে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল এখন থেকেই নিজ নিজ প্রস্তুতি শুরু করেছে। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির (BJP) অন্দরে হচ্ছে টা কী! সম্প্রতি যেভাবে একের পর এক বিরোধের ছবি সামনে এসেছে দলের অন্দরে, তাতে সামগ্রিকভাবে পদ্ম শিবিরের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। একদিকে, যখন মতুয়া সাংসদ শান্তনু ঠাকুর মতুয়াদের অধিকার নিয়ে চিন্তিত, তখন, দলের সঙ্গে একাধিক নেতৃত্বের দূরত্ব বাড়ছে। সায়ন্তন বসু, রীতেশ তিওয়ারিরা সম্পূর্ণই নীরব। ক্রমে পৃথক হয়ে যাচ্ছেন জয়প্রকাশ, অন্তত এমনটাই মত বিশ্লেষকদের।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপির অন্দরে যেভাবে একের পর এক নেতারা বিরোধ প্রকাশ করেছেন, তাতে প্রশ্ন থাকছেই। সাম্প্রতিক কালে জয়প্রকাশ মজুমদারকে দল থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার পর তিনি যে মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
দলীয় অবস্থানের বিরোধিতা করে একেবারে উল্টো সুর বিজেপির বর্যীয়ান নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের গলায়। সরাসরি রাজ্যপালকেই আক্রমণ করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতা। রাজ্য থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত- গোটা বিজেপি নেতৃত্ব যখন রাজ্যপালের পাশে, এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে একটা টুইটে রাজ্যপালের সমালোচনা করে জয়প্রকাশ তুলে দিয়েছেন একাধিক প্রশ্ন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এতে বিজেপির অস্বস্তি বাড়ল দ্বিগুণ আর নিঃসন্দেহে এটা তৃণমূলের একটা বাড়তি পাওনা।
জয়প্রকাশের কথায়, “…রাজ্যপাল এই লড়াইটা এমন একটা জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন, সেটা রাস্তার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। রাজ্যপাল পদের একটা মর্যাদা থাকে। আমি দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ছোটোবেলা থেকে বিভিন্ন রাজ্যপালের সংসর্গে আসার সৌভাগ্য রয়েছে। কিন্তু এই মিডিয়া কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াকে অবলম্বন করে যে ছায়াযুদ্ধ, তা একটা জায়গায় বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। রাজ্যের মানুষ তাতে কী পাচ্ছেন? যদি রাজ্যপাল কোনও সমস্যা দেখেন, সেটাকে কীভাবে মেটানো যায়, সেটা ভাবুন।”
অন্যদিকে, নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিজেপির অন্দরে বিক্ষোভ স্পষ্ট হয়েছে। জেলায় জেলায় দলের অন্দরে সুর চড়িয়েছেন নেতৃত্বরা। সম্প্রতি বাঁকুড়ায় জেলা সভাপতি ও দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধে পোস্টার দেওয়া থেকে শুরু করে একাধিক মন্তব্যও সামনে এসেছে। বিক্ষুব্ধ নেতারা একযোগে বনভোজনও করেছেন। স্পষ্টই বলেছেন, দলের সিদ্ধান্তে তাঁরা খুশি নন।
পরিস্থিতি যেরকম, তাতে শোনা যাচ্ছে অনেক ক্ষুব্ধ নেতানেত্রীর সংখ্যা খুব কম নয়। শুধু তাই নয়, পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়েও ক্ষোভ দেখা গিয়েছে। সব মিলিয়ে বিজেপির অন্দরের পরিস্থিতি এখন বেশ জটিল। তবে বিজেপি নেতৃত্ব চাইছে সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে। কারণ, দলের অন্দরের এই ক্ষোভ দলেরই জন্য ক্ষতিকারক। বিশেষ করে সামনে যখন নির্বাচন রয়েছে। সেক্ষেত্রে ক্ষুব্ধ নেতৃত্বদের অনেককেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার কথাও চিন্তাভাবনা চলছে। খোদ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “পরিবর্তনের হাওয়ায় একটু আধটু আওয়াজ হয়। আবার সময় দিলে সব ঠিক হয়ে যাবে।”
সূত্রের খবর, মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আরএসএস-এর সর্বভারতীয় বৈঠকে বেশ কিছু সাংগঠনিক রদবদলও হতে পারে বলে খবর। কিন্তু, সেই রদবদলে বঙ্গ বিজেপিতে কোনও প্রভাব পড়বে? সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
কলকাতা: সামনেই রাজ্যের বকেয়া পুরনির্বাচন তো রয়েছেই। এছাড়াও রয়েছে, ভিন রাজ্যে একাধিক বিধানসভা নির্বাচন। ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন। সব মিলিয়ে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল এখন থেকেই নিজ নিজ প্রস্তুতি শুরু করেছে। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির (BJP) অন্দরে হচ্ছে টা কী! সম্প্রতি যেভাবে একের পর এক বিরোধের ছবি সামনে এসেছে দলের অন্দরে, তাতে সামগ্রিকভাবে পদ্ম শিবিরের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। একদিকে, যখন মতুয়া সাংসদ শান্তনু ঠাকুর মতুয়াদের অধিকার নিয়ে চিন্তিত, তখন, দলের সঙ্গে একাধিক নেতৃত্বের দূরত্ব বাড়ছে। সায়ন্তন বসু, রীতেশ তিওয়ারিরা সম্পূর্ণই নীরব। ক্রমে পৃথক হয়ে যাচ্ছেন জয়প্রকাশ, অন্তত এমনটাই মত বিশ্লেষকদের।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপির অন্দরে যেভাবে একের পর এক নেতারা বিরোধ প্রকাশ করেছেন, তাতে প্রশ্ন থাকছেই। সাম্প্রতিক কালে জয়প্রকাশ মজুমদারকে দল থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার পর তিনি যে মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
দলীয় অবস্থানের বিরোধিতা করে একেবারে উল্টো সুর বিজেপির বর্যীয়ান নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের গলায়। সরাসরি রাজ্যপালকেই আক্রমণ করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতা। রাজ্য থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত- গোটা বিজেপি নেতৃত্ব যখন রাজ্যপালের পাশে, এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে একটা টুইটে রাজ্যপালের সমালোচনা করে জয়প্রকাশ তুলে দিয়েছেন একাধিক প্রশ্ন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এতে বিজেপির অস্বস্তি বাড়ল দ্বিগুণ আর নিঃসন্দেহে এটা তৃণমূলের একটা বাড়তি পাওনা।
জয়প্রকাশের কথায়, “…রাজ্যপাল এই লড়াইটা এমন একটা জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন, সেটা রাস্তার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। রাজ্যপাল পদের একটা মর্যাদা থাকে। আমি দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ছোটোবেলা থেকে বিভিন্ন রাজ্যপালের সংসর্গে আসার সৌভাগ্য রয়েছে। কিন্তু এই মিডিয়া কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াকে অবলম্বন করে যে ছায়াযুদ্ধ, তা একটা জায়গায় বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। রাজ্যের মানুষ তাতে কী পাচ্ছেন? যদি রাজ্যপাল কোনও সমস্যা দেখেন, সেটাকে কীভাবে মেটানো যায়, সেটা ভাবুন।”
অন্যদিকে, নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিজেপির অন্দরে বিক্ষোভ স্পষ্ট হয়েছে। জেলায় জেলায় দলের অন্দরে সুর চড়িয়েছেন নেতৃত্বরা। সম্প্রতি বাঁকুড়ায় জেলা সভাপতি ও দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধে পোস্টার দেওয়া থেকে শুরু করে একাধিক মন্তব্যও সামনে এসেছে। বিক্ষুব্ধ নেতারা একযোগে বনভোজনও করেছেন। স্পষ্টই বলেছেন, দলের সিদ্ধান্তে তাঁরা খুশি নন।
পরিস্থিতি যেরকম, তাতে শোনা যাচ্ছে অনেক ক্ষুব্ধ নেতানেত্রীর সংখ্যা খুব কম নয়। শুধু তাই নয়, পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়েও ক্ষোভ দেখা গিয়েছে। সব মিলিয়ে বিজেপির অন্দরের পরিস্থিতি এখন বেশ জটিল। তবে বিজেপি নেতৃত্ব চাইছে সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে। কারণ, দলের অন্দরের এই ক্ষোভ দলেরই জন্য ক্ষতিকারক। বিশেষ করে সামনে যখন নির্বাচন রয়েছে। সেক্ষেত্রে ক্ষুব্ধ নেতৃত্বদের অনেককেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার কথাও চিন্তাভাবনা চলছে। খোদ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “পরিবর্তনের হাওয়ায় একটু আধটু আওয়াজ হয়। আবার সময় দিলে সব ঠিক হয়ে যাবে।”
সূত্রের খবর, মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আরএসএস-এর সর্বভারতীয় বৈঠকে বেশ কিছু সাংগঠনিক রদবদলও হতে পারে বলে খবর। কিন্তু, সেই রদবদলে বঙ্গ বিজেপিতে কোনও প্রভাব পড়বে? সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা