Saraswati Pujo 2022: ‘জয় জয় দেবী’…বাগদেবীর আরাধনায় আনন্দ-হিল্লোল, পড়ুয়াদের কোলাহলে ভরছে স্কুলঘর

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Feb 05, 2022 | 12:16 PM

Kolkata: সরস্বতী পুজোয় আপাতত বৃষ্টির ছুটি। দুই বছর পরে নতুন করে যেন প্রাণ ফিরে পাচ্ছে স্কুল-কলেজ। ফিরছে পড়ুয়ারাও

Follow Us

কলকাতা: ‘৩ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলবে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যলয়।’ নবান্নের সভাঘর থেকে এমনই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও বলেছিলেন, সরস্বতী পুজোর (Saraswati Pujo) কথা মাথায় রেখেই আরও এই সিদ্ধান্ত। পড়ুয়ারা যাতে কোভিড বিধি মেনে সরস্বতী পুজো করতে পারে সেইজন্যই এই সিদ্ধান্ত। অবশেষে সেই দিন। মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী বাসন্তী তিথি। প্রায়  দুই  বছর পর সরস্বতী পুজোর জন্য মিলেছে ছাড়পত্র। অতএব, স্কুলে-কলেজে ভিড়  পড়ুয়াদের।

শনিবার সকাল থেকেই স্কুলে-স্কুলে চলছে বাণীবন্দনা। শ্রীপঞ্চমীর এই খুশিতে ভিলেন হয়ে হানা দিয়েছিল পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। আশঙ্কা ছিল শনিবার পুজোর সকালেও বৃষ্টি হবে। তবে, দিনের শেষে সুখবর শুনিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। ঝঞ্ঝার বাধা কেটেছে। শনিবার আপাতত বৃষ্টি হচ্ছে না।  ফলে পুজোতে আনন্দের হিল্লোল। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই শেয়ার করেছেন পুজোর মুহূর্তও।

প্রায় দুই বছর পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা। কী বলছে পড়ুয়ারা? সকলেই খুশি। কোভিড বিধি মেনেই চলছে পুজো। কালীদাসী মিত্র বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সুমিতা স্যান্যাল। প্রাথমিক স্তরে এখনও স্কুল শুরু হয়নি। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’। তাই পুজোয় আসতে পেরে খুশি খুদে। প্রশ্ন করতেই হাসতে হাসতে সুমিতার উত্তর, “প্রতি বছর তো স্কুলে আসি। সব বন্ধুরা ম্যাচিং করে শাড়ি পরি। কত্তদিন পরে আবার এলাম।”

কমলা গার্লসের ছাত্রী অনুষ্কা বর্মণ। একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সে। দুই বছর পর স্কুল খুলেছে। কেমন লাগছে পুজো জিজ্ঞেস করতেই কথার স্রোত।  অনুষ্কার কথায়, “আমরাই স্কুলে পুজোর আয়োজন করি। সাধারণত দিদিদের সঙ্গে বাজার করা, সাজানো সব কিছু করি। কিন্তু, এ বারে কেবল সাজাতেই পেরেছি। আর পুজোর যা কাজ। সব মিলিয়ে খুব ভাল লাগছে…অন্তত পুজো তো হচ্ছে।”

কমলা গার্লসের ইনচার্জ শিখা সরকার জানিয়েছেন, কোভিড বিধি মেনেই স্কুলে পুজো হচ্ছে। প্রাক্তনী বা অন্য কোনও ছাত্রীদের স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কেবল একাদশ শ্রেণির ছাত্রীরাই পুজোর জন্য স্কুলপ্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকতে পারবে। পুজোর জন্য উপস্থিত থাকছেন শিক্ষিকারাও। কেউ স্কুলের পুজো দেখতে চাইলে অনলাইনেই দেখতে পারবেন।

ইতিমধ্যেই ২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুলে-কলেজে যেতে শুরু করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশিত বিধি মেনেই চলেছে জীবাণুনাশের কাজ।  মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশিকায় বেশি করে জোর দেওয়া হয়েছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্র্যাকটিকাল ক্লাসে। কারণ, কোভিড কোপে স্কুল বন্ধ থাকায় ক্লাসই করতে পারেনি পড়ুয়ারা। প্র্যাকটিক্যাল তো দূরের ব্যাপার। অথচ,উচ্চমাধ্যমিকে প্র্যাকটিকালে একটা বড় শতাংশ  নম্বর ধার্য করা হয়। ফলে পড়ুয়াদের জন্য প্র্যাকটিকাল ক্লাস সমান গুরুত্বপূর্ণ।

নির্দেশিকায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, করোনার বিধিনিষেধ মেনে সুষ্ঠু ভাবে যাতে স্কুল খোলা যায়, তার জন্য এক জন করে নোডাল অফিসার মনোনীত করতে হবে। তাঁরা প্রশাসন ও স্কুলের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবেন। রাজ্য সরকারের তরফে এই নোডাল অফিসার হিসাবে কাজ করবেন স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার এএন বিশ্বাস।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে স্কুল। সেদিন থেকেই স্কুলে যেতে পারবেন শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীরা। ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল যেতে পারবে পড়ুয়ারাও। চাইলে খোলা যাবে হস্টেলও। তবে সে বিষয়ে আলাদা করে কোনও ঘোষণা করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, স্কুলে কোভিড বিধি মানা বাধ্যতামূলক। আগে প্রত্যেক ক্লাসের জন্য আলাদা আলাদা সময় নির্ধারিত হয়েছিল। তবে, এ বার সেভাবে কোনও আলাদা সময় ধার্য করা হচ্ছে না। একসঙ্গেই সকল পড়ুয়া আসতে পারে স্কুলে।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

কলকাতা: ‘৩ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলবে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যলয়।’ নবান্নের সভাঘর থেকে এমনই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও বলেছিলেন, সরস্বতী পুজোর (Saraswati Pujo) কথা মাথায় রেখেই আরও এই সিদ্ধান্ত। পড়ুয়ারা যাতে কোভিড বিধি মেনে সরস্বতী পুজো করতে পারে সেইজন্যই এই সিদ্ধান্ত। অবশেষে সেই দিন। মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী বাসন্তী তিথি। প্রায়  দুই  বছর পর সরস্বতী পুজোর জন্য মিলেছে ছাড়পত্র। অতএব, স্কুলে-কলেজে ভিড়  পড়ুয়াদের।

শনিবার সকাল থেকেই স্কুলে-স্কুলে চলছে বাণীবন্দনা। শ্রীপঞ্চমীর এই খুশিতে ভিলেন হয়ে হানা দিয়েছিল পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। আশঙ্কা ছিল শনিবার পুজোর সকালেও বৃষ্টি হবে। তবে, দিনের শেষে সুখবর শুনিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। ঝঞ্ঝার বাধা কেটেছে। শনিবার আপাতত বৃষ্টি হচ্ছে না।  ফলে পুজোতে আনন্দের হিল্লোল। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই শেয়ার করেছেন পুজোর মুহূর্তও।

প্রায় দুই বছর পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা। কী বলছে পড়ুয়ারা? সকলেই খুশি। কোভিড বিধি মেনেই চলছে পুজো। কালীদাসী মিত্র বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সুমিতা স্যান্যাল। প্রাথমিক স্তরে এখনও স্কুল শুরু হয়নি। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’। তাই পুজোয় আসতে পেরে খুশি খুদে। প্রশ্ন করতেই হাসতে হাসতে সুমিতার উত্তর, “প্রতি বছর তো স্কুলে আসি। সব বন্ধুরা ম্যাচিং করে শাড়ি পরি। কত্তদিন পরে আবার এলাম।”

কমলা গার্লসের ছাত্রী অনুষ্কা বর্মণ। একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সে। দুই বছর পর স্কুল খুলেছে। কেমন লাগছে পুজো জিজ্ঞেস করতেই কথার স্রোত।  অনুষ্কার কথায়, “আমরাই স্কুলে পুজোর আয়োজন করি। সাধারণত দিদিদের সঙ্গে বাজার করা, সাজানো সব কিছু করি। কিন্তু, এ বারে কেবল সাজাতেই পেরেছি। আর পুজোর যা কাজ। সব মিলিয়ে খুব ভাল লাগছে…অন্তত পুজো তো হচ্ছে।”

কমলা গার্লসের ইনচার্জ শিখা সরকার জানিয়েছেন, কোভিড বিধি মেনেই স্কুলে পুজো হচ্ছে। প্রাক্তনী বা অন্য কোনও ছাত্রীদের স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কেবল একাদশ শ্রেণির ছাত্রীরাই পুজোর জন্য স্কুলপ্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকতে পারবে। পুজোর জন্য উপস্থিত থাকছেন শিক্ষিকারাও। কেউ স্কুলের পুজো দেখতে চাইলে অনলাইনেই দেখতে পারবেন।

ইতিমধ্যেই ২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুলে-কলেজে যেতে শুরু করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশিত বিধি মেনেই চলেছে জীবাণুনাশের কাজ।  মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশিকায় বেশি করে জোর দেওয়া হয়েছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্র্যাকটিকাল ক্লাসে। কারণ, কোভিড কোপে স্কুল বন্ধ থাকায় ক্লাসই করতে পারেনি পড়ুয়ারা। প্র্যাকটিক্যাল তো দূরের ব্যাপার। অথচ,উচ্চমাধ্যমিকে প্র্যাকটিকালে একটা বড় শতাংশ  নম্বর ধার্য করা হয়। ফলে পড়ুয়াদের জন্য প্র্যাকটিকাল ক্লাস সমান গুরুত্বপূর্ণ।

নির্দেশিকায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, করোনার বিধিনিষেধ মেনে সুষ্ঠু ভাবে যাতে স্কুল খোলা যায়, তার জন্য এক জন করে নোডাল অফিসার মনোনীত করতে হবে। তাঁরা প্রশাসন ও স্কুলের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবেন। রাজ্য সরকারের তরফে এই নোডাল অফিসার হিসাবে কাজ করবেন স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার এএন বিশ্বাস।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে স্কুল। সেদিন থেকেই স্কুলে যেতে পারবেন শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীরা। ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল যেতে পারবে পড়ুয়ারাও। চাইলে খোলা যাবে হস্টেলও। তবে সে বিষয়ে আলাদা করে কোনও ঘোষণা করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, স্কুলে কোভিড বিধি মানা বাধ্যতামূলক। আগে প্রত্যেক ক্লাসের জন্য আলাদা আলাদা সময় নির্ধারিত হয়েছিল। তবে, এ বার সেভাবে কোনও আলাদা সময় ধার্য করা হচ্ছে না। একসঙ্গেই সকল পড়ুয়া আসতে পারে স্কুলে।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

Next Article