‘আমরা ভুলিনি, ভুলব না’, সিএএ বিরোধী হিংসার ছবি স্মরণ করিয়ে কোন বার্তা দিলীপের?

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Jun 20, 2021 | 10:54 PM

রবিবার আবার জল্পনা উস্কে দিয়ে সিএএ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি এ বার বাংলায় সিএএ কার্যকর করতে সক্রিয় হবে বিজেপি?

আমরা ভুলিনি, ভুলব না, সিএএ বিরোধী হিংসার ছবি স্মরণ করিয়ে কোন বার্তা দিলীপের?
ফাইল ছবি

Follow Us

কলকাতা: গোটা দেশে টিকাকরণ কর্মসূচি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা সম্ভব নয়। ভোটের প্রচারে রাজ্যে এসে এমনটাই দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও ভোটে পর্যুদস্ত হওয়ার পর থেকে গেরুয়া শিবিরের নেতারা সিএএ প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী থেকে দিলীপ ঘোষ, রাজ্যের বেশিরভাগ প্রথম সারির বিজেপি নেতারাই এই নিয়ে সুর চড়িয়েছেন। রবিবার আবার জল্পনা উস্কে দিয়ে সিএএ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি এ বার বাংলায় সিএএ কার্যকর করতে সক্রিয় হবে বিজেপি?

নাগরিকত্ব আইন সংসদে পাশ হওয়ার পরই সবার প্রথম ক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছিল পশ্চিমবঙ্গে। লাগাতার ৩-৪ দিন ধরে হিংসার ঘটনার চলতে থাকে। ট্রেনে, বাসে আগুন ধরায় বিক্ষোভকারীরা। ধ্বংস হয় কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি। সেই ঘটনাগুলিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েই রবিবার আচমকা ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন দিলীপ ঘোষ। সেই পোস্টের মাধ্যমে তিনি কার্যত মনে করিয়ে দিয়েছেন যে সেই হিংসার ঘটনার কথা ভোলেনি বিজেপি। যে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল, সেগুলি মনে করিয়ে দিয়েই তিনি লিখেছেন, “আমরা ভুলিনি। ভুলব না।”

বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই পোস্টের পর থেকে খুব স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গে সিএএ কার্যকর করতে চাইছে? এ দিনের ফেসবুক পোস্টে ঠিক কী লিখেছেন দিলীপ? মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ লেখেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সম্পর্কে অপপ্রচার করে কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তি দেশের বহু সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে দেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরী করার চেষ্টা করেছিল।”

আরও পড়ুন: ‘পূর্ব পাকিস্তানকেও আলাদা হতে হয়েছিল,’ বার্লার বিতর্কে জল ঢাললেও কীসের ইঙ্গিত দিলীপের?

তিনি আরও লেখেন, “কিছু সমাজবিরোধী তত্ত্ব পশ্চিমবঙ্গ তথা পুরো ভারতবর্ষে সরকারি সম্পত্তিতে আগুন জ্বালিয়ে দেশকে কালিমালিপ্ত করে সমাজকে অশান্ত করার চেষ্টা করে। ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়া, সহিংসতার সেই দৃশ্যগুলো আমরা ভুলিনি। ভুলবও না।” রাজনীতির কারবারিদের মতে একাংশের মতে, ভোটে হেরে যাওয়ায় রাজ্যে নিজেদের সক্রিয়তা কায়েম রাখতে আগামী সময় সিএএ-কেই হাতিয়ার করতে চলেছে বিজেপি। অন্তত দিলীপ-শুভেন্দুদের সাম্প্রতিক সুর দিকেই ইঙ্গিত করছে।

আরও পড়ুন: ‘বঙ্গভঙ্গ’ বিতর্কের মাঝেই জল্পনা বাড়িয়ে সপ্তাহখানেকের জন্য পাহাড়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল

Next Article