কলকাতা: কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেকর মানুষের জন্য শিয়ালদহ স্টেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই স্টেশন ছুঁয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। সাত সকালে কেউ সবজি নিয়ে ট্রেনে ওঠেন, বেলা বাড়লে ব্যাগ হাতে চাকরিজীবী নিত্যযাত্রীদের ভিড়। কলকাতা শহর ও মফস্বলের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র এই শিয়ালদহ স্টেশন। এবার সেই স্টেশনেরই নাম বদল করার দাবি উঠল।
আজ, বুধবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব কলকাতায় আসেন। একগুচ্ছ নয়া পরিষেবা চালু করেন শিয়ালদহ স্টেশন থেকে। শিয়ালদহে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, একাধিক ট্রেনের কোচ বাড়ানো হয়েছে, যাতে অনেক বেশি যাত্রী যাতায়াত করতে পারে। তিনি জানান, শিয়ালদহ স্টেশনে ক্যাপাসিটি বাড়ানোর জন্য প্ল্যাটফর্ম ও রেল কোচ বাড়ানোর দরকার ছিল। এবার সেখানে তিন লক্ষ অতিরিক্ত যাত্রী চলাচল করতে পারবে। এছাড়াও আজিমগঞ্জ কাশিমবাজার ট্রেন চালুর কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এদিনের অনুষ্ঠানেই স্টেশনের নাম পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়েছে বঙ্গ বিজেপির তরফে। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানান, বুধবারই রেলমন্ত্রীকে সেই দাবি জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, “মানুষের রক্তাক্ত ইতিহাস জড়িয়ে আছে। সর্বস্বান্ত হওয়া মানুষ একদিন এসে ভিড় করেছিলেন শিয়ালদহ স্টেশনে। সেদিন ক্যাম্প করে শিয়ালদহের আশপাশে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল যাঁর তত্ত্বাবধানে, তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তাই আজ রেলের একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আমাদের দাবি জানিয়েছি। তিনি বলেছেন, ‘আমি বিষয়টা দেখব।'” বিজেপির দাবি, শিয়ালদহ স্টেশনের নাম বদলে করা হোক শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায়।
উল্লেখ্য, ভারতের পুরনো স্টেশনগুলির মধ্যে অন্যতম শিয়ালদহ স্টেশন। ১৮৬২ সালে এই স্টেশন চালু হয়। পরে ১৮৬৯ সালে তৈরি হয় স্টেশন বিল্ডিং।