Bangla NewsKolkata Bengal chief minister Mamata Banerjee Press meet from nabanna
UPDATE Mamata Banerjee: ‘সন্ধ্যাবেলা বলে গেলাম মধ্যরাতে কিছু করবেন না’, সিএএ নিয়ে চরম হুঁশিয়ারি মমতার
Mamata Banerjee: লোকসভা ভোটের আগে যা নিঃসন্দেহে নরেন্দ্র মোদীর 'মাস্টারস্ট্রোক'। তবে সিএএ নিয়ে বিরোধীদের একটা অংশের তীব্র আপত্তি। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় প্রথম থেকে সিএএ-এর বিরোধিকায়। ক্যা ক্যা বলে এই সিএএকে কটাক্ষ করেন তিনি। নবান্নে আজ সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Follow Us
কলকাতা: সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজই সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হতে চলেছে বলে খবর। লোকসভা ভোটের আগে যা নিঃসন্দেহে নরেন্দ্র মোদীর ‘মাস্টারস্ট্রোক’। তবে সিএএ নিয়ে বিরোধীদের একটা অংশের তীব্র আপত্তি। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় প্রথম থেকে সিএএ-এর বিরোধিকায়। ক্যা ক্যা বলে এই সিএএকে কটাক্ষ করেন তিনি। এ নিয়েই সোমবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বারবারই বলেন, কী আইন হচ্ছে তা দেখে আগামিকাল মঙ্গলবার যা বলার বলবেন। তবে এদিনও তাঁর অবস্থান তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন এই সাংবাদিক সম্মেলনে।
কী বললেন মমতা
দেশের কিছু ভাল হলে আমরা যেমন অভিনন্দন জানাই। তেমনই দেশের কোনও খারাপ হলে আমরা তা সাপোর্ট করতে পারি না। আমি বলব, ভয় পাবেন না।
সকলকে বলব ভয় পাবেন না, চিন্তা করবেন না। আধার কার্ড যখন বাতিল হচ্ছিল, আমরা রুখে দাঁড়িয়েছিলাম। আজও যদি কারও অধিকার কেড়ে নেওয়া হয় তৃণমূল একমাত্র দল সর্বপ্রথম আওয়াজ তুলবে, আলোড়ন তুলবে। তারই সূচনা আমি এখনই করে দিয়ে গেলাম। কারণ মধ্য রাতের মধ্য গগনে কী ফুল ফুটবে তো আমরা জানি না। তাই আগাম বলে গেলাম সন্ধ্যাবেলায়। নতুন সন্ধ্যা শুরুর আগে বলব, মধ্যরাতে এমন কিছু করবেন না। এটা ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট নয়। সাহস থাকলে ৬ মাস আগে দিতেন। ৪ বছর অপেক্ষা করতে হল কেন?
বাংলা-সহ নর্থ ইস্ট রিজিওনে এটা খুবই সংবেদনশীল। নতুন করে ভোটের আগে কোনও অশান্তি হোক আমরা এটা চাই না। পায়ে পা লাগিয়ে প্ররোচনা বিজেপি সৃষ্টি করুক আমরা চাই না।
তাঁদের নাগরিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, সামাজিক অধিকার, ব্যক্তিগত অধিকার সবই থাকবে। এই নতুন আইন কারও আগের অধিকার বাতিল করে দেবে না তো? আমার মাথায় এটা আসছে তার কারণ, আগের আইনটায় তাই বলা ছিল। এবারের আইনটা কী করছে আমাকে দেখতে হবে।
ভোট আজকে আছে, কাল ফুরিয়ে যাবে। এসব লোক দেখানো, প্রতারণা, ছলনা। এতে যদি কেউ খুশি হয়, আমি খুশি হব। কিন্তু কেউ দুঃখ পায় আমি দুঃখ পাব। তাই অপেক্ষা করছি টোটাল আইনটা দেখার জন্য। এখনও মনে করি আমাদের এখানে যারা আছেন, সারা ভারতবর্ষে, যারা ভারবর্ষে বসবাস করে, বাংলায় বসবাস করে, প্রত্যেকে নাগরিক।
আমরা স্ট্রংলি এটার প্রতিবাদ করব। আমরা আগেই জানিয়ে গেলাম। দ্বিতীয়ত, নো এনআরসি। এনআরসি মানতেই পারি না। আর ক্যা-এর নাম করে কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দেবে এই চালাকিও আমরা করতে দেব না।
আমি বিস্তারিত দেখার পর মঙ্গলবার বলব। তবে ক্যা দেখিয়ে এনআরসি নিয়ে এসে কারও নাগরিকত্ব বাতিল করা হলে আমরা কিন্তু চুপ থাকব না।
তাদের ভোটেই তো মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, গ্রামসভা, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ, কর্পোরেশন হয়েছে। সেই ভোটের, সেই নাগরিকত্বের কোনও মূল্য নেই? নাগরিকত্ব ভোটের আগে নতুন করে চিন্তা করতে হচ্ছে?
তার মানে নতুন কিছু করবে, পুরনোটার কোনও গুরুত্ব থাকবে না। আমাদের থিওরি, আমরা সবসময় বলি সবাই নাগরিক। আজ কেউ চাকরি করছে, কেউ স্কুলে পড়ছে, কেউ জমিজমা কিনে দীর্ঘদিন ধরে বসতি তৈরি করেছে। তার মানে সেগুলি ভ্যালিড নয়? আইনি প্রশ্ন হবে না তো? আগে যে সুযোগ সুবিধা পেতেন, সব অবৈধ হয়ে যাবে?
আজকে যাদের বলা হচ্ছে, ছেলের হাতে মোয়া। বলবেন আপনারা পোর্টালে নাম লিখুন। পোর্টালে তো সব ধর্মের মানুষই নাম লেখাবে। কিন্তু সেই নাম আদৌ কার্যকরি হবে। আর যদি ক্যা করে বলে আপনারা নাগরিক। তাহলে এতদিন কি তারা নাগরিক ছিল না? সেই জন্যই নমঃশূদ্র ও মতুয়া ভাইবোনকে আধার কার্ড বাতিলের চক্রান্ত হয়েছিল?
যদি কোনও বৈষম্য হয় সে জিনিস আমরা মানি না। ধর্ম বৈষম্য, বর্ণ বৈষম্য বা লিঙ্গ বৈষম্য হোক।
আমি প্রথমেই বলে রাখি পুরো রিপোর্ট দেখার পর কাগজ হাতে পাওয়ার পর কাল হাবড়ার মিটিং থেকে সবটা বলব।