কলকাতা: বাংলায় মুকুটে নয়া পালক। রাষ্ট্রীয় স্তরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছ থেকে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে আনল বাংলা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে একাধিক স্তরে কাজের নিরিখে রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মোট ১৪টি জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত। প্রতিবার ২৪ এপ্রিল জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবসে দিল্লিতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এবারও তেমনটাই হবে বলে সূত্রের খবর। প্রয়াত প্রাক্তন পঞ্চায়েত মন্ত্রীর দফতর সেরার শিরোপা অর্জন করায় গর্বিত সরকার, জানাচ্ছেন বর্তমান পঞ্চায়েত মন্ত্রীই। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুলক রায় পঞ্চায়েত দফতরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরেরও দায়িত্বে রয়েছেন।
♦ শিশু বান্ধব গ্রাম পঞ্চায়েত পুরস্কার ২০২২ পাচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ২ নম্বর ব্লকের বিজুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত।
♦ গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়ন পুরস্কার পাচ্ছে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর ১ নম্বর ব্লকের গোয়াগাঁও ১ গ্রাম পঞ্চায়েত।
♦ রাষ্ট্রীয় গৌরব গ্রামসভা পুরস্কার ২০২২ পাচ্ছে বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের ইলামবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত।
♦ এছাড়াও পঞ্চায়েত সশক্তিকরণ পুরস্কার ২০২২ পাচ্ছে ১১ টি জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত।
জেলা পরিষদ
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান
পঞ্চায়েত সমিতি
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট পঞ্চায়েত সমিতি ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতি।
গ্রাম পঞ্চায়েত
বাঁকুড়ার পত্রসায়র ব্লকের বোলসি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত।
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ব্লকের আমড়াকুচি গ্রাম পঞ্চায়েত (প্রাকৃতি সম্পদ থিম)।
পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি ২ ব্লকের বোহার ১ গ্রাম পঞ্চায়েত (স্যানিটেশন থিম)।
দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের গঙ্গারামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত (রেভিনিউ জেনারেশন থিম)।
পুরুলিয়ার মানবাজার ২ ব্লকের কুমারি গ্রাম পঞ্চায়েত (প্রাকৃতিক সম্পত্তি)।
উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ১ ব্লকের মছলন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত (দুর্যোগ মোকাবিলা থিম)।
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা ২ ব্লকের ভগবন্তপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত।
তিনি নেই, তবুও পঞ্চায়েত দফতর এযাবৎ আগলে রেখেছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি নেই, তাঁর দফতর আজ সেরার সেরা। তাঁর মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই দফতর সামলাচ্ছিলেন পুলক রায়। কাজের বিকেন্দ্রীকরণের হয়েছে, তাই সাফল্য এসেছে। বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, একশো দিনের কাজেও বাংলা শীর্ষে। রাজ্য সরকার দাবি করছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ১ কোটি ১১ লক্ষ ১৯ হাজার ৬৭৫ জন কাজ পেয়েছেন। তবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ এবারও তুলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ২৮৭৬ কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে বকেয়া রয়েছে। রাজ্যের দাবি, এই পরিস্থিতিতে যেভাবে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে দফতরগুলি, এই পুরস্কার তারই স্বীকৃতি।
এর আগে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের থেকে পুরস্কার পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের মধ্যে বিমান ব্যবস্থায় যোগাযোগ বাড়ানোয় মিলেছিল স্বীকৃতি। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, বাগডোগরা বিমানবন্দর আধুনিকীকরণে সাহায্য করা হচ্ছে। জমিও দেওয়া হচ্ছে। মালদা, কোচবিহার, পুরুলিয়ায় বিমান পরিষেবা চালু করারও উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার।