কলকাতা : বাংলার শেখার ইচ্ছা নিজেই প্রকাশ করেছিলেন নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। সেই মতো সরস্বতী পূজার দিনই আয়োজন হল তাঁর ‘হাতেখড়ি’র। এক শিশুর হাত ধরে স্লেটে বর্ণমালার প্রথম অক্ষর ‘অ’ লিখলেন রাজ্যপাল। শিশুকে দিলেন ‘গুরুদক্ষিণা’ও। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাজ্যপালের হাতে ‘বর্ণপরিচয়’ তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন সকাল থেকেই এই অনুষ্ঠান নিয়ে রাজনৈতিক মত পার্থক্য চোখে পড়েছে বাংলায়। সেই আবহেই অনুষ্ঠান শেষে রাজ্যপালের মুখে শোনা গেল ‘জয় বাংলা’। সঙ্গে ‘জয় হিন্দ’ও বললেন তিনি। এদিন মোট দুটি নতুন শব্দ শিখেছেন সিভি আনন্দ বোস।
রাজভবনে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ সৌগত রায় সহ অনেকেই। গানের অনুষ্ঠান শেষে শুরু হয় প্রতীকী ‘হাতেখড়ি’। স্লেটে ‘অ’ লেখার পর দুই শিশু তাঁকে মঞ্চে গিয়ে দুটি শব্দ শিখিয়েছেন, ‘মা’ ও ‘ভূমি’।
এরপর মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে উঠে রাজ্যপালের মাতৃভাষায় (মালয়ালাম) অভিনন্দন জানান রাজ্যপালকে। বাংলা শেখার সিদ্ধান্তের জন্য রাজ্যপালকে অভিবাদন জানান তিনি। মমতা উল্লেখ করেন, বাঙালিরা ‘বর্ণপরিচয়’ হাতেই বাংলা শেখা শুরু করেন। তাই ‘বর্ণপরিচয়’-এর প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ তুলে দেন রাজ্যপালের হাতে। বাংলা ভাষার গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি মমতা দাবি করেন, প্রত্যেক জায়গায় গিয়ে সেখানকার আঞ্চলিক ভাষা শেখা উচিত। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেও যে কত ভাষাভাষির মানুষ আছে, সে কথাও মনে করিয়ে দেন মমতা।
অনুষ্ঠান শেষে বক্তব্য পেশ করতে উঠে বাংলাতেই পুরোটা বলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলা শিখব। বাংলা সুন্দর ভাষা। আমি বাংলাকে ভালবাসি। বাংলার মানুষকে ভালবাসি। নেতাজি সুভাষ বসু আমার নায়ক। জয় বাংলা, জয় হিন্দ।’ এদিন অনুষ্ঠান শেষে সমবেতভাবে ‘ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা’ গানে চেনা ভঙ্গিতে গলা মিলিয়েছিলেন মমতাও।
উল্লেখ্য, এদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত থাকলেও যাননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপালের হাতেখড়ির এই অনুষ্ঠানকে রাজ্য সরকার রাজনৈতিকভাবে অপব্যহার করছে।