কলকাতা : রাজ্য স্বাস্থ্য় দপ্তরে রাজ্য় সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের অন্ধত্ব দূরীকরণ কর্মসূচি রয়েছে। তা সত্ত্বেও অন্ধত্ব দূরীকরণে সক্ষম হচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ। তবে ছত্তিশগড়ই কিন্তু এই কর্মসূচিকে বাস্তব রূপ দিতে পারছে। কিন্তু বাংলা এখনও সেই ক্ষেত্রে সাফল্য পায়নি। পিছিয়ে পড়ছে বাংলা। অন্ধকার নেমে আসছে বাংলার মানুষদের জগতে। সমীক্ষায় উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য়। রাজ্য়ে ১০০ জন দৃষ্টিহীন মানুষের মধ্য়ে ৮ জনের অন্ধত্বের কারণ কর্নিয়া সংক্রান্ত অসুখ। এই রোগ নিরাময়ে প্রয়োজন কর্নিয়া গ্রাফটিং, চক্ষু প্রতিস্থাপন বা কেরিটোপ্লাস্টি। কিন্তু চাইলেই চিকিৎসা করা যাচ্ছে কোথায়! পরিকাঠামো ও প্রক্রিয়াগত ত্রুটির জন্য চিকিৎসা পাচ্ছেন না বাংলার মানুষরা। চির জীবনের জন্য় অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে তাঁদের জগত।
অন্ধত্বের রোগ নিরাময়ে যেসব জিনিসের প্রয়োজন সেখানেই খামতি থেকে যাচ্ছে। কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করাতে চাইলেও করাতে পারছেন না রোগীরা। কারণ কর্নিয়া সংগ্রহে থেকে যাচ্ছে বড় রকমের ঘাটতি। এনআরএস (অপথ্যালমোলজি) প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান সমীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “সরকারি হাসপাতালগুলিতে একটি চোখ দিলে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো ১০০০ টাকা করে পায়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলি যদি তার থেকে বেশি টাকা দিয়ে চোখগুলি নিয়ে নেয় তাহলে তাঁরা সরকারি হাসপাতালে চোখ দিতে খুব কম আসবেন।” এই কারণ ছাড়াও অন্ধত্ব দূরীকরণে বাংলার পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হল টেকনোলজিস্টের ঘাটতি।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, অন্ধত্ব দূরীকরণে কর্নিয়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে হলে রাজ্যে অন্তত ১৪০০ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অপথ্যালমোলজি প্রয়োজন। সেখানে রাজ্যে অনুমোদিত পদের সংখ্যা মাত্র ৫০৩টি। তার মধ্যেও ২২০ পদে দীর্ঘদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে। ৩৭ টি চুক্তিভিত্তিক MT OPTO পদ তিনবছর ধরে খালি রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের খবর, রাজ্য অনুমোদিত পদে টেকনোলজিস্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগাতে পারছে না স্বাস্থ্য ভবন। তাছাড়া নতুন পদ তৈরির অনুমতি দিচ্ছে না কেন্দ্র। এছাড়াও NPCB প্রকল্পের জন্য় প্রয়োজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরও। রাজ্যের ১১ টি জেলায় দীর্ঘদিন ধরে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর মিলছে না। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে MT-OPTO পদে কোনও অনুমোদন নেই।
এই বিষয়ে এনআরএস (অপথ্যালমোলজি) প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান সমীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “চোখের সার্জেন চাহিদার তুলনায় অনেক কম। ৪৭৩ জনের একটি তালিকা গত পাঁচ বছর ধরে পড়ে রয়েছে। একটা নিয়োগও হয়নি। ভিসন সেন্টার যদি চালু করা যায়। সেখানে চোখের সার্জেন দেওয়া যায় তাহলে তা অনেক কাজে দেবে। ” হিসেব মতো রাজ্যে RIO প্রয়োজন ৮-১০ জন। প্রতিটি মেডিকেল কলেজে তিনজন করে। জেলা হাসপাতালে দরকার ২-৩ জন। মহকুমা, স্টেট জেনারেল, সুপার স্পেশালিটিতে ২ জন করে। গ্রামীণ হাসপাতাল ও ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজন ১ জন করে। তবে হুঁশ ফিরেছে রাজ্য় সরকারের। সম্প্রতি বৈঠক করে আগামী তিন মাসের মধ্যে কর্নিয়া সংগ্রহে রাজ্যের পারফরম্যান্স ভাল করার লক্ষ্যে উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু MT OPTO পদে শূন্যপদের ঘাটতি পূরণ না হলে, সেই চেষ্টায় সুফল মেলার ব্যাপারে সন্দিহান স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাব্যক্তিদের একাংশ।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
কলকাতা : রাজ্য স্বাস্থ্য় দপ্তরে রাজ্য় সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের অন্ধত্ব দূরীকরণ কর্মসূচি রয়েছে। তা সত্ত্বেও অন্ধত্ব দূরীকরণে সক্ষম হচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ। তবে ছত্তিশগড়ই কিন্তু এই কর্মসূচিকে বাস্তব রূপ দিতে পারছে। কিন্তু বাংলা এখনও সেই ক্ষেত্রে সাফল্য পায়নি। পিছিয়ে পড়ছে বাংলা। অন্ধকার নেমে আসছে বাংলার মানুষদের জগতে। সমীক্ষায় উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য়। রাজ্য়ে ১০০ জন দৃষ্টিহীন মানুষের মধ্য়ে ৮ জনের অন্ধত্বের কারণ কর্নিয়া সংক্রান্ত অসুখ। এই রোগ নিরাময়ে প্রয়োজন কর্নিয়া গ্রাফটিং, চক্ষু প্রতিস্থাপন বা কেরিটোপ্লাস্টি। কিন্তু চাইলেই চিকিৎসা করা যাচ্ছে কোথায়! পরিকাঠামো ও প্রক্রিয়াগত ত্রুটির জন্য চিকিৎসা পাচ্ছেন না বাংলার মানুষরা। চির জীবনের জন্য় অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে তাঁদের জগত।
অন্ধত্বের রোগ নিরাময়ে যেসব জিনিসের প্রয়োজন সেখানেই খামতি থেকে যাচ্ছে। কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করাতে চাইলেও করাতে পারছেন না রোগীরা। কারণ কর্নিয়া সংগ্রহে থেকে যাচ্ছে বড় রকমের ঘাটতি। এনআরএস (অপথ্যালমোলজি) প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান সমীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “সরকারি হাসপাতালগুলিতে একটি চোখ দিলে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো ১০০০ টাকা করে পায়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলি যদি তার থেকে বেশি টাকা দিয়ে চোখগুলি নিয়ে নেয় তাহলে তাঁরা সরকারি হাসপাতালে চোখ দিতে খুব কম আসবেন।” এই কারণ ছাড়াও অন্ধত্ব দূরীকরণে বাংলার পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হল টেকনোলজিস্টের ঘাটতি।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, অন্ধত্ব দূরীকরণে কর্নিয়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে হলে রাজ্যে অন্তত ১৪০০ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অপথ্যালমোলজি প্রয়োজন। সেখানে রাজ্যে অনুমোদিত পদের সংখ্যা মাত্র ৫০৩টি। তার মধ্যেও ২২০ পদে দীর্ঘদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে। ৩৭ টি চুক্তিভিত্তিক MT OPTO পদ তিনবছর ধরে খালি রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের খবর, রাজ্য অনুমোদিত পদে টেকনোলজিস্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগাতে পারছে না স্বাস্থ্য ভবন। তাছাড়া নতুন পদ তৈরির অনুমতি দিচ্ছে না কেন্দ্র। এছাড়াও NPCB প্রকল্পের জন্য় প্রয়োজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরও। রাজ্যের ১১ টি জেলায় দীর্ঘদিন ধরে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর মিলছে না। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে MT-OPTO পদে কোনও অনুমোদন নেই।
এই বিষয়ে এনআরএস (অপথ্যালমোলজি) প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান সমীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “চোখের সার্জেন চাহিদার তুলনায় অনেক কম। ৪৭৩ জনের একটি তালিকা গত পাঁচ বছর ধরে পড়ে রয়েছে। একটা নিয়োগও হয়নি। ভিসন সেন্টার যদি চালু করা যায়। সেখানে চোখের সার্জেন দেওয়া যায় তাহলে তা অনেক কাজে দেবে। ” হিসেব মতো রাজ্যে RIO প্রয়োজন ৮-১০ জন। প্রতিটি মেডিকেল কলেজে তিনজন করে। জেলা হাসপাতালে দরকার ২-৩ জন। মহকুমা, স্টেট জেনারেল, সুপার স্পেশালিটিতে ২ জন করে। গ্রামীণ হাসপাতাল ও ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজন ১ জন করে। তবে হুঁশ ফিরেছে রাজ্য় সরকারের। সম্প্রতি বৈঠক করে আগামী তিন মাসের মধ্যে কর্নিয়া সংগ্রহে রাজ্যের পারফরম্যান্স ভাল করার লক্ষ্যে উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু MT OPTO পদে শূন্যপদের ঘাটতি পূরণ না হলে, সেই চেষ্টায় সুফল মেলার ব্যাপারে সন্দিহান স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাব্যক্তিদের একাংশ।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা