কলকাতা: উপনির্বাচনে ফলাফল যাই হোক না কেন, সংবাদ মাধ্যমের সামনে আলটপকা মুখ খোলা যাবে না। তাই ভবানীপুরে (Bhabanipur Bypoll) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) রেকর্ড জয় নিয়ে বিশেষ কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে শোনা যায়নি প্রথম সারির বিজেপি (BJP) নেতাদের। শুধু মাত্র সংবাদ মাধ্যমে একটি ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়ে দায়িত্ব সেরেছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। অন্যদিকে, তৃণমূলকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করে একটি বিবৃতি জারি করেছে বঙ্গ বিজেপি। নিজের বক্তব্যে সুকান্ত প্রশ্ন তুলেছেন ভোটের কম হার নিয়ে। এই ফলাফলে আদৌ ভবানীপুরের মানুষের রায় প্রতিফলিত হচ্ছে কি না সেই প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। সুকান্ত বলেন, “জয়লাভ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানাই। জনগণের রায় বিজেপি সব সময় মাথা পেতে নেয়। আগেও নিয়েছে। তবে মাত্র ৫৭ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন, তাই ঠিক কত সংখ্যক মানুষের রায় প্রতিফলিত হয়েছে সেটা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।”
সুকান্তর আরও সংযোজন, “ভোটারদের একটা বিরাট হয় হয় ভোট দিতে পারেননি, বা ভোট দিতে আসেননি। এই সুযোগে তৃণমূল চেয়েছিল বিজেপিকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দেবে। কিন্তু এত সংখ্যক মানুষ যে আমাদের ভোট দিয়েছেন তাতে আমরা সত্যিই আপ্লুত। এই ভোট আমাদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছে আগামী দিনের ভোটে লড়ার জন্য। আমরা আগামিদিনে নিজেকে লড়াই চালিয়ে যাব।”
অন্যদিকে, ভোটের ফলাফল নিয়ে রাজ্য বিজেপি সংগঠনের সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দোপাধ্যায় একটি বিবৃতি জারি করেন। যেখানে প্রথমেই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে উপনির্বাচন আয়োজনের জন্য মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তোপ দাগা হয়। পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ টেনে এনে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের কথাও মনে করিয়ে দেয় বিজেপি। সেই সঙ্গে লেখা হয়েছে, “ভয় এবং সন্ত্রাসের পরিবেশে এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়, এবং নতুন করে সন্ত্রাসের আশঙ্কাও ছিল।” রাজ্য প্রশাসনের তরফে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়।
তবে লক্ষণীয়ভাবে বিজেপির এই বিবৃতিতে কমিশনের উদ্দেশে সমালোচনার সুর দেখা গিয়েছে। ভোটারদের হুমকি দেওয়া হলেও কমিশন সেই ভয় দূর করার জন্য কিছুই করেনি বলেও কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এক ভুয়ো ভোটারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে দাবি করা হয়েছে, অন্যান্য কেন্দ্রেও ব্যাপক ছাপ্পা ভোট পড়েছে। এই সাফল্যও তৃণমূলকে বেশিদিন রক্ষা করতে পারবে না বলে দাবি করেছে বিজেপি। তবে গোটা বিবৃতি জুড়েই কার্যত তৃণমূলকে তুলোধোনা করা হয়েছে। বিজেপি কী কারণে ইতিবাচক ফল করতে পারল না, সেই প্রসঙ্গেও কোনও শব্দ খরচ করা হয়নি।