Bhabanipur Missing Case: সঙ্গিনী আরবিআই-এর প্রাক্তন কর্মী, তার সঙ্গেই আলাপ হয়েছিল ভবানীপুরের এই যুবকের… পাঁচ দিনের সম্পর্কে যা পরিণতি

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 20, 2022 | 11:08 AM

Bhabanipur Missing Case: ভবানীপুরের এক যুবকের রহস্যময় নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশি তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠল।

Bhabanipur Missing Case: সঙ্গিনী আরবিআই-এর প্রাক্তন কর্মী, তার সঙ্গেই আলাপ হয়েছিল ভবানীপুরের এই যুবকের... পাঁচ দিনের সম্পর্কে যা পরিণতি
ভবানীপুরে যুবকের নিখোঁজ রহস্য

Follow Us

কলকাতা: এক সপ্তাহ ধরে উধাও বাড়ির ছেলে। সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। না পেয়ে থানার দ্বারস্থ। পরিবারের বক্তব্য অভিযোগ জানিয়েও পুলিশের কোনও হেলদোল নেই। পুলিশের কাজ করতে হচ্ছে পরিবারের লোকজনকেই। ভবানীপুরের এক যুবকের রহস্যময় নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশি তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠল।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবানীপুরের বাসিন্দা ২০ বছরের সিবা মল্লিক মাদকাসক্ত। ৫দিনের বেশি সময় ধরে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের লোকজন ভবানীপুর থানার পুলিশকে জানালেও কোনও হেলদোল নেই পুলিশের,এমনটাই পরিবারের অভিযোগ।

পাশাপাশি বেহালা চৌরাস্তার একটি মাদকাসক্ত তরুণীর সঙ্গেও ছেলেটার ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে পরিবারের সদস্যদের দাবি। এক সঙ্গে নেশা করতেন তাঁরা। তাঁর ওপরেই অভিযোগের তির আনছে ছেলেটির পরিবার। তাঁদের বক্তব্য ওই মেয়েটি ছেলেটিকে কিছু করেছে। এবং সেই কারণে মেয়েটির বাড়ির ঠিকানা নিয়ে খোঁজ চালিয়ে ছেলেটির পরিবারের লোক জন আসে মেয়েটির বেহালার বাড়িতে। সোমবার রাতে ছেলেটির পরিবারের সদস্যরা মেয়ের পরিবারের লোকের সঙ্গে দেখা করেন। পরিবারের লোকের বক্তব্য, মেয়েটির কথায় একাধিক অসঙ্গতি তাঁরা লক্ষ্য করেছেন। ছেলেটির পরিবারের আরও দাবি, মেয়েটি নাকি নিজের মুখেই বললেন যে সন্তোষপুরে তাঁরা নেশা করতে যেতেন।

আরও একটি চাঞ্চল্যকর বিষয় জানা যাচ্ছে। ছেলেটির পরিবারের তরফে যে তরুণীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তিনি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় চাকরি করতেন। তিনি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ার কারণেই তাঁর চাকরি চলে যায়। বর্তমানে তিনি বেকার। তাঁর পারিবারিক সম্পত্তি পতিপত্তিও বেশি ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে সেটাও শেষ হতে থাকে।

ওই তরুণী নিজেই জানালেন সবটা। তাঁর কথায়, ছেলেটিকে তিনি চিনতেন। সন্তোষপুরের যে জায়গা থেকে মাদক কিনতেন, সেখানেই ওই যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। তাঁর তিন-চার দিন একসঙ্গে ঘোরাফেরাও করেন। পঞ্চম দিন থেকে ওই যুবক নিখোঁজ হয়ে যান। তিনি বলেন, “পঞ্চম দিন অর্থাৎ যেদিন থেকে ওই নিখোঁজ, সেদিন ও আমাকে অপেক্ষা করতে বলেছিল, কিন্তু আর আসেনি। ও একটা চোরাই মোবাইল কিনেছিল কালীঘাটের ছেলেদের থেকে। এর থেকে বিশেষ আমি আর কিছুই জানি না।”

গোটা বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা নিজেরাই ভবানীপুর থানায় জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ছেলের কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না তাঁরা। ছেলেটার পরিবারের সদস্য বলেন, “ওই মেয়েটা আমাদের প্রচুর মিথ্যা কথা বলেছে। মেয়েটার কথায় অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। মেয়েটাকে আমরা সন্তোষপুর থেকে তুলেছি। ওকে আমরা অনেকটাই ভালভাবে বুঝিয়েছি, খাইয়েছি। কিন্তু মেয়েটা কোনওভাবে কিছু করেছে। পুলিশের তরফ থেকে কোনও সাহায্যই পাচ্ছি না।” লালবাজারেও গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

Next Article